ভাতশালা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করার লক্ষ্যে ভোট লড়ছে তৃণমূল

0
105

শ্যামল রায়,পূর্বস্থলীঃএলাকায় স্বাস্থ্যপরিসেবা বলতে রয়েছে একটি মাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তাই এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেপরিণত করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল।
আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট প্রচারের একটি প্রধান দাবি। এছাড়াও এলাকাতে পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তা দ্রুত শেষ করা। সেই সাথে এলাকায় একটি শিশু উদ্যান সবুজ সংকেত তৈরি হয়েছে তার সাথে আরও একটি শিশু উদ্যান তৈরি করা হবে জাহান নগর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এমনটাই দাবি করেছেন বিদায়ী তৃণমূলের প্রধানা শুক্লা রাহা।

নিজস্ব চিত্র

বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী  এক নম্বর ব্লকের অধীন আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্যতম জাহান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত এ দুজন পুরনো মুখ বাদে সকলেই নতুন মুখ এনে বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন মুখ তুলে এনে প্রজন্মের কাছে উন্নয়নের এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের চিন্তাভাবনা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের।
এই পঞ্চায়েত এলাকায় লোকসংখ্যা ২৩হাজার।
একশো দিনের প্রকল্পে শ্রম দিবসজব কার্ডধারীরা গড়ে পেয়েছেন ৬০ দিন করে।
গত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা।
ডালাই রাস্তার কাজ হয়েছে প্রতিটি গ্রামেই।
৮০ শতাংশ ঢালাই রাস্তার কাজ হয়েছে। বাকি রাস্তাগুলোতে ইট ও মোরামের রাস্তা রয়েছে।
জাহান নগর উচ্চ বিদ্যালয় এর পরিকাঠামো উন্নয়নে৬০ লক্ষ টাকা খরচ করেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দকৃত অর্থ এটি।
গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে একটি জুনিয়ার হাই স্কুল ও দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি। এর মধ্যে বেশির ভাগ অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র গুলি রয়েছে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও ক্লাবঘরে। যদিও শিশু আলাই গুলি যথেষ্ট উন্নত মানের পরিকাঠামোর মধ্যে দিয়ে পঠন পাঠন করে থাকেন শিশুরা।
এছাড়াও বাংলা আবাস যোজনা ইন্দিরা আবাস গীতাঞ্জলি প্রকল্পে মোট ঘর প্রাপক সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
এলাকায় পানীয় জল প্রকল্পের জন্য রয়েছে একটি মাত্র পি এইচ ই। আরো তিনটি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধান শুক্লা রাহা।
গ্রামে গ্রামে পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছে দেয়ার জন্য রয়েছেহ‍্যানড টিউবয়েলে সংখ্যা তিন শতাধিক।
এছাড়াও শুনুন 2 ভান্ডার টিকিটে গড়ে তোলা হয়েছে আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে দিয়ে জৈব সার প্রকল্প। এখানে মাছ চাষ থেকে শুরু করে মুরগির খামার হাঁস পালন চাষবাস প্রভৃতি সম্পন্ন হবে বিন্দু সেচ জলের মাধ্যমে। এই প্রকল্পটির এযাবৎকাল ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়েছে এবং কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
তবে পঞ্চায়েতে নিজস্ব সম্পদ বাড়ানোর উপর বেশি জোর দিয়েছিলো বিদায়ী পঞ্চায়েত। আগামীদিনেও গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজস্ব সম্পদ বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান। বিদায়ী প্রধান ইচ্ছে আগামী দিন এলাকার অসহায় গরীব বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিজস্ব পঞ্চায়েত ফান্ড থেকে ভাতা প্রদানের একটা উদ্যোগ তিনি লাগাতারভাবে গ্রহণ করবেন। এছাড়াও পঞ্চায়েত অফিস এর উপরে একটি অনুষ্ঠান হল করে পঞ্চায়েতের ফান্ড মজবুত করার দিকে নজর দিয়েছেন এবং আগামী দিনেও যারা সাথী বন্ধু থাকবেন ।
বর্তমান পঞ্চায়েত অফিসের সামনে রাস্তার উপরে যে সবজি বাজার টি রয়েছে সেটিকে তুলে নিয়ে একটু ভেতরের দিকে বাজার নতুনভাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন আগামী দিন বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি সচেষ্ট থাকবেন।
এছাড়াও তার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে২৫০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ব্যাংক থেকে ঋণ পেয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন অনেক সদস্য সদস্যরা।খ ই ভাজা  থেকে শুরু করে একাধিক হাতের কাজ করে তারা সংসারে রোজগারের অর্থ তুলে দিচ্ছেন স্বামীদের হাতে সেই সাথে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ যুগিয়ে যাচ্ছেন এই সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।
আগামী দিন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা যাতে বেশী বেশী করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে তার জন্য তিনি লাগাতার ভাবেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আগামী দিনেও করবেন। ভাতা প্রদান বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন যে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ভাতা প্রাপক সংখ্যা৫২৯জন। কৃষি ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ১৫জন।
রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থার এটিএম। মাসিক ভাড়া হিসাবে অর্থ পেয়ে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
মাধাই পুর ভূত সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি প্রকল্পের উন্নয়নের প্রচার এর পাশাপাশি সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নমুখী প্রকল্পের প্রচার তারা করে যাবেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী সুধীর ঘোষ তিনি জানিয়েছেন যে বিগত বাম আমলে এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি সেই উন্নয়নের কাজটা আমাদের সরকারের আমলে রাস্তাঘাট পর্যাপ্ত পানীয় জলের সুযোগ-সুবিধাসহ একাধিক উন্নয়নমুখী কাজ হয়েছে। এদিন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে উপস্থিত ছিলেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারপারসন সমীর হোড় ও চঞ্চল দে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন যে আমাদের এই পঞ্চায়েতে উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূল দল যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সংগঠিত‌। বিগত দিনে জানিনা কি হয়েছে বর্তমানে তৃণমূলের সাংগঠনিক এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জোটবদ্ধভাবে একটা বুথ ভিত্তিক কমিটি আছে তারা আলোচনাক্রমে সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ কিভাবে হবে তা নির্ধারিত করে থাকেন বলে জানিয়েছেন দেবাঞ্জন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নেও কোন প্রকার বিকল্প নাম উঠে আসেনি সরাসরি এলাকার কর্মীদের সমর্থ নে একজনের নাম উঠে আসায় তাদেরকে প্রার্থী করা হয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকায় শ্মশানঘাট সংস্কারের সাথে সাথে ও সমব্যথী প্রকল্প সুযোগ পেয়েছেন এযাবৎকাল ৭১ জন। দেবাঞ্জন বাবুর অভিযোগ যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা যতই ভারতীয় জনতা পার্টি ও সিপিআইএম জোটবদ্ধভাবে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে জয়লাভের চেষ্টা করুক তা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হবে। বিজেপি ও তৃণমূলের অলিখিত জোট ভোটাররা কোনভাবেই মনেপ্রাণে মেনে নেবে না তাই সরকারের একাধিক প্রকল্পের উন্নয়নমুখী কাজকে অব্যাহত রাখতে মানুষ আমাদের দলের সাথেই আছেন আগামীদিনেও আমাদের পাশে থেকে উন্নয়নমুখী কাজের শরীর হিসাবে থাকবেন এটাই আশা করছি। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তিনি যেভাবে উন্নয়নমুখী কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমরা তারএকজন সৈনিক হিসাবে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি মানুষের পাশে থাকার জন্য।
জানা গিয়েছে যে এই পঞ্চায়েতে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৭টি।বুথ সংখ্যা২০টি । সাংসদ সতেরোটি। পাঁচ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ছিন ৮ জন।আর সিপিএমের সদস্য সংখ্যা ছিল ৭  জন। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল ২জন। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ছিল ২ এর মধ্যে সিপিএমের ছিল একজন। জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা তিনটি। তিনটি আসনেই ছিল তৃণমূলের দখলে।
তবে ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় নেতা সুবল রাহুত ও সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত ভাওয়াল জানিয়েছেন যে এলাকায় বহু রাস্তাঘাট বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছায়নি গ্রামের মানুষের কাছে তাই উন্নয়নে নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই পিছিয়ে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে বিরোধীদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি। তবে বিদায়ী তৃণমূলের নেত্রী ও প্রধানা শুক্লা রাহা জানিয়েছেন যে
উন্নয়নে নিরিখে দশ ভাগের মধ্যে তিনি দশ ভাগ পেতেই পারেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here