শিবশংকর চ্যাটার্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের নারায়নপুরে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয় বর্গীয়,বিজেপি নেতা মুকুল রায়,বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রুপা গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
এই সভায় আজ প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের তৃনমুল কংগ্রেস সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন এইবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক করে ফেলছে।২৩ শে মে এরপর স্পিডব্রেকার দিদি বুঝে যাবেন সাধারণ মানুষের সাথে গুন্ডামী করার,ওনাদের টাকা লুঠ করার,ওনাদের বিকাশ আটকানোর ফল কি হতে পারে।
আমি মিডিয়ায় দেখছিলাম বিগত দুই দফায় সাধারণ মানুষ,আমাদের ভাই বোনেরা কি ভাবে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীকে শায়েস্তা করেছেন।গুন্ডাদের ধমকির পরেও কিভাবে আমাদের কৃষক,শ্রমিক,ব্যবসায়ী সাধারন মানুষ,যুবকেরা ভোট দেওয়ার জন্য বেড়িয়ে পরেছিল।
বন্ধুরা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের যে রিপোর্ট এসেছে তা স্পিড ব্রেকার দিদির ঘুমেও স্পিড ব্রেকার লাগিয়ে দিয়েছে।তিনি বলেন মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গে যা করেছে তাতে এই মাটির মহান ইতিহাস তাকে মাফ করবে না এমনকি ভবিষ্যতও তাকে মাফ করবে না।
আপনার মমতা দিদির ওপর অনেক বিশ্বাস করেছিলেন কিন্তু উনি আপনাদের মা মাটি মানুষের নামে শুধু ধোঁকা দিয়েছেন। এই ভুল শুধু আপনারা করেননি,আমিও করেছি কারন যখন আমি ওনাকে টিভিতে দেখতাম কখনো কখনো দেখা হত আমি ভাবতাম ইনি সত্যি সততার প্রতীক,বাংলার ভাল চান, কমিউনিস্টদের অত্যাচার থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে চান।কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখানে তার কাজ কর্ম দেখে আমার মাথা লজ্জায় ঝুঁকে পড়েছে।তিনি বলেন যখন আমার মত ব্যাক্তির ভুল হতে পারে তো এই বাংলার নরম মনের মানুষদের ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক।এরপর আমিও ওনাকে চিনে গেছি আর এই বাংলার বাচ্চারা পর্যন্ত ওনাকে চিনে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী সারদা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে বলেন প্রথমে নারদা,সারদা ও রোজভ্যালি সাধারন মানুষ টাকা লুঠে নিলো।তারপর দিদি অভিযুক্তদের মন্ত্রী,পার্ষদ বানিয়ে দিলেন।ভ্রষ্টাচারীদের জন্য তিনি ধরনায় পর্যন্ত বসলেন।
তিনি বলেন আপনাদের আশির্বাদে আপনাদের এই চৌকিদার গরীব মানুষের পাই পয়সার হিসেব নেবে।তিনি কটাক্ষ করে বলেন এখন টিএমসির জগাই মাধাই যতই চেষ্টা সাধারন মানুষকে করুক সুবিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।
তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন যেভাবে এখানে পিসি-ভাইপো মিলে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে,এখানকার পরিচয়কে এখানকার লোকেদের বদনাম করছেন তা লজ্জাজনক।তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার এমনকি খুব কাছেরই ত্রিপুরা রাজ্যেও সপ্তম কমিশন চালু হলেও এখানকার দিদি গরীবের কথা বলা দিদি এখান ষষ্ঠ বেতন কমিশন পর্যন্ত দেননি।
আরও পড়ুনঃ শহর বহরমপুরে নির্বাচনী জনসভায় ‘জোড়া খুন’,’ইলেকট্রিক চুল্লির’ উল্লেখ মমতার
তিনি আরও বলেন এখান থেকে যতদিন এখান থেকে গুন্ডারাজ কমবে না ততদিন এখানে শিল্পের বিকাশ ঘটবে না এমন কি এখানে পড়াশোনার অগ্রগতিও ঘটবে না।প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে বিজেপি কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584