শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বিপ্লব থেকে বিজ্ঞান, সব সময় দেশকে নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। করোনা কালের শুরুতেই নিজস্ব তৈরি স্যানিটাইজার বাজারে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীরা।
এবার করোনা প্রতিরোধে এবার দেশের নিরিখে নজির গড়তে চলেছে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের পড়ুয়ারা। করোনা প্রতিরোধে তারা আবিষ্কার করে ফেলেছে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক মাস্ক। ইতিমধ্যেই তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে আইসিএমআর-এর কাছে। আইসিএমআর সব দিক ক্ষতিয়ে দেখে অনুমোদন দিলেই আগামী দিনে ভারতীয় বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হবে এই মাস্ক।
আরও পড়ুনঃ তেলের দুনিয়ায় বিপ্লব, এবার মিলবে প্যাকেটে
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘ইলেকট্রনিক মাস্কের নকশা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। অনুমোদনের জন্য আমরা আইসিএমআর-এর কাছে আবেদন জানিয়েছি। ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছি। তা মিললেই উৎপাদন শুরু করা হবে।’ তবে এই মাস্ক বাজারে কবে পাওয়া যাবে কত দাম হবে, তা এখনই কিছু জানাতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুনঃ আমফান ত্রাণ বিলি নিয়ে আধিকারিকদের দৈনিক কাজের তদারকি করবেন মুখ্যমন্ত্রী
করোনা ভাইরাস রুখতে মাস্ক এখন বাধ্যতামূলক। তৈরি হচ্ছে নানা ধরনের মাস্ক। কোভিড-১৯ রুখতে কোন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, তা নিয়ে এখনও সংশয় আছে। এন-৯৫ মাস্কের বদলে ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এসবের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্ট্রুমেন্টেশন বিভাগের পড়ুয়ারা এই আবিষ্কার রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এই মাস্কের তড়িৎ-চৌম্বকীয় প্রভাব ভাইরাস মারতে অতি সক্ষম। ফলে এই মাস্ক ব্যবহার করলে মারণ জীবাণুর বিরুদ্ধে যে কেউ যুদ্ধে সফল হতে পারবেন, এমনই দাবি গবেষক-পড়ুয়াদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584