নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
গত পাঁচ বছর ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতির পালের তাণ্ডব বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের ফলন মার খাচ্ছে। ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিকল্প চাষ বা অন্য রোজগারের পথেও পা বাড়াচ্ছেন জঙ্গলমহল এলাকার কৃষকরা ৷
গত এক দশকে হাতির পাল প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে তাদের উপদ্রবও ৷ ব্যাপক ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে না পারলেও বন দফতর থেকে ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।বাড়ানো হয়েছে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণও ৷ কিন্তু তাতেও জঙ্গলমহলের মানুষদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না ৷ ফলে ক্রমেই জঙ্গল জীবনে জীবিকার ধরন পাল্টাতে হচ্ছে কৃষকদের৷
গত পাঁচ বছর ধরে ধান কাঁচা অবস্থাতেই তুলে নিতে হচ্ছে জঙ্গলমহলের কৃষকদের ৷ কারণ ধান পাকার কয়েক মুহূর্ত আগেই হাতির পাল প্রবেশ করে আধপাকা ধান খেয়ে বা পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে ৷ তাতে ধান তো দূর, খড়ও জুটছে না কৃষকদের৷ তাই কৃষকরা হাতির আগমনের খবর পেলেই কাঁচা ধান কেটে বাড়িতে তুলে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির পীরাগরিতে কারখানায় আগুন, ব্লাস্টে আটক দমকলকর্মীরাও
এতে অবশ্য মোটের ওপরে ক্ষতিই হচ্ছে ৷ এবার আলু চাষেও সে প্রভাব পড়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া থেকে ৭০ টি দলমা হাতির একটি পাল প্রবেশ করেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মনিদহ এলাকায় ৷ রাতেই ওই পঞ্চায়েত এলাকার দুর্বাচটি,ফরিদচক,মণিদহ এলাকায় আলুর জমিতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে ওই পালটি৷
বুধবার সকালে তা দেখে শতাধিক কৃষক তাদের জমির অপরিণত আলুকে মাঠ থেকে খুঁড়ে তুলে নিয়েছেন ৷ অতিরিক্ত দামে মজুর নিয়ে এসে কাঁচা ও ছোট আলুকে তুলেছেন ৷
মণিদহ গ্রামের কৃষক ধনঞ্জয় মাহাত বলেন, ধানে অনেক ক্ষতি হয়েছিল, ভেবেছিলাম আলুতে পুষিয়ে নেব৷ এবার আলুরও ক্ষতি করল, তাই যতটুকু রয়েছে তা তুলে নিলাম ৷ কিন্তু আলুর সাইজ ছোটো বলে পাইকাররা নেবে না বলে দিল ৷ তাই সকলে চিন্তায় রয়েছি ঋণ শোধ করব কীভাবে ৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584