নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ধান পাকার আগেই হাতির পাল, চোখের সামনে সবুজ ধান জমি নষ্ট হতে দেখতে হচ্ছে চাষীদের।
প্রতিবছর ধান পাকার মুহূর্তে দলমা ও ময়ূর ঝর্ণা থেকে হাতির পাল হাজির হয়ে যায়। এবার সময়ের আগেই দলমার হাতির পাল হাজির হয়ে গিয়েছে। একশোর বেশি হাতি রয়েছে এই হাতির পালে। হাতির পালটি কয়েকদিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া রাজ্যের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামগুলিতে ঘোরাফেরা করছিল।
সেখানে বিভিন্ন রকম হামলা চালিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত করার পর হাতির পাল বর্তমানে শালবনী থানার অন্তর্গত ননাশোল এলাকায় প্রবেশ করেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে। ননাশোল গ্রামের পাশে থাকা বিভিন্ন কৃষকদের সবুজ ধান জমিতে বিঘের পর বিঘে ধান খেয়ে নষ্ট করে গিয়েছে হাতির পাল। গ্রামবাসীরা ও হুলা পার্টিরা কয়েকদিন ধরে তাড়ানোর পরও হাতির পাল কোথাও না গিয়ে সবুজ ধান জমির আশেপাশেই রয়ে গিয়েছে । বৃহস্পতিবার বিকেলে বিঘের পর বিঘে জমি সবুজ ধান দেখেছেন কৃষকেরা চোখের সামনেই। হাতির পালকে এর থেকে বেশি তাড়ানোর চেষ্টা করলে হিংস্র হয়ে আক্রমণে প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে এরকম সাবধান বাণীর কারণে কেউই তাড়াতে সক্ষম হয়নি এদিন নতুন করে।
স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত মাহাতো বলেন, প্রতিবছরই ধান পাকলে হাতির পাল এসে নষ্ট করে যায়। এ বছর অনেক আগেই চলে এসেছে। বনদপ্তর যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয় তা একেবারেই না এর মত। ফলে এ বছরও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলাম আমরা।
জঙ্গলমহল সংলগ্ন এই এলাকার কৃষকেরা এমনিতেই অনেকটা দেরি করে ধান রুয়েছিলেন। ফলে ধান পাকতে অনেকটাই সময় বাকি রয়েছে। তার আগেই সবুজ ধান চারা গুলিকে খেয়ে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে হাতির পাল । আর এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকশো কৃষক।
আরও পড়ুনঃ রান্না ঘরের দেওয়াল ভেঙে ধান খেল হাতি
বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে ডিএফও সন্দীপ বেরাওয়াল বলেন-ক্ষতিপূরণ যা দেওয়ার সেটা তো দেওয়া হবেই। সেইসঙ্গে হাতিগুলোকে দ্রুত এলাকাছাড়া করানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে দলে হাতির শাবক থাকার কারণে সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে একটু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584