সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পানাগড়ের বায়ুসেনার জঙ্গলে তার বাস। বছর কয়েক আগে খান পাঁচেক মানুষকে পিষে খুন করেছিল সে। তার গায়ের উপর ‘খুনি’র তকমা লেগেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তার স্বভাব বদলে যায়। গত দেড় বছর সে কাউকে খুন করেনি। এমনকি আশেপাশের গ্রামে হানাও দেয়নি।
সে কোন মানুষ নয় একটি হাতি।
পানাগড় সেনা ছাউনির কুড়ি ফুট গভীর এক পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকা কুয়োতে পড়ে এখন সে মৃত্যুর মুখোমুখি।
বাঁকুড়া এবং বর্ধমান থেকে ঘুমপাড়ানি বিশেষজ্ঞ এসে: হাতিটিকে কাবু করার পর দড়িতে বেঁধে ক্রেনে করে তোলা হয়। সেনাছাউনি ঠিকানা থেকে তাকে পাঠানো হয় বাঁকুড়া মেদিনীপুর ময়ূরঝর্ণা প্রকল্পের জঙ্গলে।
তবে তার আগে হাতিটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব বনাঞ্চলের মুখ্য বনপাল কল্যাণ দাস।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে হাতির হানা,ভাঙল স্কুলের গেট ও প্রাচীর
বছর দেড়েক ধরে সেনা ছাউনি হয়ে উঠেছিল তার বাড়ি। এলাকায় সে ‘মিলিটারি’ নামে পরিচিত ছিল। ঘন্টা চারেকের চেষ্টার পর তাকে তোলা হয়। তবে তার পায়ে গভীর চোট লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। চোট সারিয়ে উঠতে পারলে তবেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে ময়ূরঝর্ণার জঙ্গলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584