নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
হাতির হানা যেন পিছু ছাড়ছে না। ভেঙে চলেছে বাড়ি। মাঝে মাঝে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কখনও ঘটছে মৃত্যুর মতো ঘটনা। জমিতে নেই ফসল, জঙ্গলেও মিলছে না খাবারের গাছ, খাবারের খোঁজে হানা দিচ্ছে গৃহস্থের বাড়িতে। রাত একটা নাগাদ কংসাবতী নদী পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়িপাল থানার মনিদহ এলাকায় ঢুকে পড়ে একটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি।
জমিতে কোন ফসল না থাকায় ধানের গন্ধে হানা দিল মনিদহ গ্রামের তিনটি বাড়িতে। ঐ গ্রামের মুকুন্দ জানা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের অংশের দেওয়াল ও ছাউনির অ্যাসবেসটস ভেঙে দেয়। বাড়ির ভেতরে সবাই ঘুমিয়ে ছিল বলে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। ওখানে খাবার না পেয়ে পাশে নবগোপাল ঘোষ ও অমিত ঘোষের বাড়ির জানালা ভেঙে ধান খায়। তিনটি বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি একটি শৌচাগারও ভাঙে। মনিদহ থেকে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে এনায়েতপুরে চলে আসে দাঁতালটি। ভোর তিনটা নাগাদ এনায়েতপুরে চারটি বাড়ি ভাঙে। অমল দোলই এর মাটির বাড়ি ভাঙার সময় বাড়ির ভেতরে ঘুমিয়ে ছিল তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান।
দেওয়ালের মাটি পড়ে তাদের উপর। বুঝতে পেরে অমলের স্ত্রী তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে কোনোরকমে পাশের ঘরে চলে গিয়ে প্রাণে বাঁচে। হাতি শুঁড় বাড়িয়েও নাগাল পায়নি। অন্যদিকে রাজেশ দোলই নামে এক ব্যক্তির ইঁটের বাড়ি ভাঙায়, ইঁট পড়ে পায়ে আঘাত পান ঐ পরিবারের এক মহিলা। বাড়িতে থাকা সিদ্ধ ধানের গন্ধে হাতি হানা দিয়েছে। এছাড়াও এনায়েতপুরে বিশ্বজিত দোলই ও সুকুমার দোলই নামে দুই ব্যক্তির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ফেলে দাঁতালটি। পরে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করে। এই হাতিটি কংসাবতী নদী পেরিয়ে গুড়গুড়িপাল এলাকায় যে প্রবেশ করবে তার আগাম খবর ছিল বনদপ্তরে।
আরও পড়ুনঃ অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কার্বাইন সহ গ্রেপ্তার দিনহাটার দুই যুবক
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অরুপ নন্দী বলেন, এখন জমিতে কোনো ফসল নেই, হাতি বারবার হানা দিচ্ছে গৃহস্থের বাড়িতে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বনদপ্তর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে স্থানীয় মানুষজন মনে করে হাতিটি দলমার নয়। দলমার একটি হাতি এত বাড়ি ভাঙেনি এবং উচ্চতাও কম হয়। হাতিটি ওড়িশা থেকে আসতে পারে। এই হাতিটির উচ্চতা দেখেও আতঙ্কে এলাকাবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584