নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর :
বেশীরভাগ প্রাইমারি স্কুল গুলিতে পরিদর্শনে পাঠানো হচ্ছে প্যারাটিচার দের।এ নিয়েও প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে দারুন ক্ষোভ।যেখানে বেতন কমিশনের কোনো হদিশ নেই সেখানে শিক্ষকদের পড়াশোনা দেখভালের সাথে সাথে মিড ডে মিল, শৌচাগার, স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন কাজ শিক্ষকদের করে যেতে হচ্ছে।
শিক্ষকদের নিজস্ব দাবিদাওয়া নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার যখন কর্মসংস্কৃতি নষ্টের নাম দিয়ে অধিকারকে কেড়ে নিচ্ছে ঠিক তখন বছরে নানা রকমের অতিরিক্ত ছুটি দিয়ে কর্মসংস্কৃতির বারোটা বাজানো হচ্ছে।
অদ্ভুত হলেও সত্য শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে গত দেড় বছরের উপরে প্রাইমারি চেয়ারম্যানের পদটি খালি পড়ে আছে।বহুদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষকরা যারা বাড়ি থেকে বহু দূরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চাকরি করতে যেতে হয়।একমাত্র চেয়ারম্যান না থাকার কারণে ট্রান্সফার সিস্টেমটাই বন্ধ হয়ে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দঃদিনাজপুরের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কথায়—- “শিক্ষকতার সাথে সাথে ক্লারিকাল ও গ্রুপ ডি-র কাজ করি। কখনো আবার একাউন্টেন্ট । সাধারণ বিষয় পড়ানোর সাথে সাথে আমি শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষারও শিক্ষক। এ ছাড়াও আমি বাচ্চাদের খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করি। আমি আবার কখনো ডি ও, কখনো বি এল এ। কখনো অভিভাবক দের বাড়ির শৌচাগার পরীক্ষা করি।কখনো করি চাইল্ড রেজিস্টারের কাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য সামাজিক সচেতনতা মূলক কাজ করি। আমি প্রায় সব ধরণের অফিসিয়াল কাজ করে থাকি। কিন্তু পারিশ্রমিক নিই সবার চেয়ে কম।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584