আসিকুল আলম
মহাত্মা গান্ধীর ভাবনা বা ধারণার অন্তর্দৃষ্টি তৈরি হয়েছিল হিন্দু স্বরাজের উপর। সেই অন্তর্দৃষ্টিমূলক ভাবনাগুলি হল-
গান্ধীজি তাঁর এই নিস্ক্রিয় প্রতিরোধের ধারণা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রয়োগ করেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত ভারতীয় সম্প্রদায়গুলোর অন্তর্দ্বন্দ্ব দূর করার জন্য।এই সময় তিনি পৃথিবী বিখ্যাত লেখক লিও টলস্টয় ও জন রাশকিনের লেখার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হন।
তিনি প্রাক্তন লেখকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন তাঁর হিংসা ও ভোগবাদের প্রতি ঘৃণার আদর্শ এবং পরবর্তীতে তিনি শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি শ্রদ্ধা ও দরিদ্র মানুষের প্রতি চেতনার ধারণা লাভ করেন। কিন্তু তিনি সমালোচনা মূলক লেখায় হাত দেন এবং সেগুলোর প্রয়োগ করেন শুধুমাত্র পশ্চিমী শিল্পমূলক সমাজেই।
যদিও ভারতীয় সমাজ তখনো শিল্পের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল। এই মৌলিক গবেষণা মূলক লেখার আগমন ঘটেছিল তাঁর হিন্দু স্বরাজে যেটা তৈরি হয়েছিল ১৯০৯ খ্রীষ্টাব্দে।
পশ্চিমী সমাজে অশুভ প্রভাব যেটা ভারত গ্ৰহণ করেছিল, সেই কারণে স্বরাজ থেকে তিনি বিরত ছিলেন। যদিও পূর্ণ স্বরাজের বিষয়গুলো ছিল চমকপ্রদ।
এর মধ্যে ছিল নির্বাচনী গণতন্ত্র এক ধরনের অশুভ শক্তি কারণ পার্লামেন্ট বা মন্ত্রীসভা ছিল দাসত্বের প্রতীক। মহিলাদের ঘরের বাইরে কোন চাকরি ছিলনা। অন্যথায় সেখানে আরও উঠে আছে মহিলাদের ভোটাধিকারের আন্দোলনের মত ব্যধি ।
সর্বোপরি আধুনিক শিল্প যেটা পুরোপুরি যন্ত্র নির্ভর সেটাকে এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তৎকালীন ভারতীয় সমাজের কিছু ত্রুটি- বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ বা অস্পৃশ্যতা বিরাজমান ছিল, সেটিকে তিনি স্বীকার করেন। কিন্তু বহুবিবাহ বা অস্পৃশ্যতা নিয়ে তিনি কোনো কিছুই উল্লেখ করেননি।
সমাজে জাতিভেদ প্রথাকে ঘুরিয়ে প্রশংসা করা হয় মানুষের মধ্যে কিছু প্রতীকী প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেখানে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা প্রতীক চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তিনি এটা উচ্চ কন্ঠে জাহির করেন যে ভারতবর্ষকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশদের দ্বারা তিনটি অশুভ শক্তি।
সেগুলো হল রেল, উকিল এবং চিকিৎসক তিনি আরও বলেন যে ভারতে সুতো কল স্থাপনের চেয়ে, ম্যাঞ্চেস্টার থেকে সুতো কেনাটা ভারতের জন্য মঙ্গল হবে। তিনি বলেন ভারতে বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রয়োজন নেই। ধর্মীয় শিক্ষা যেটা মুল্লা, পারসী দাস্তুর এবং ব্রাহ্মণরা দিয়েছে ভারতীয়দের কাছে সেটাই যথেষ্ট।
২) দরিদ্রদের জন্য
এটা লক্ষনীয় যে যখন গান্ধীজি অনেক বেশী উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, তখন তিনি দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য কোন প্রস্তাব হিন্দু স্বরাজে উপস্থাপন করেননি। এটা করেছিলেন কারণ তাঁর বিশ্বাসের জন্য যেটা এখানে তিনি অপ্রকাশ্য ভাবে রেখেছিলেন, কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন সম্পত্তি অধিকারে ধর্মের পবিত্রতা।
আরও পড়ুনঃ গান্ধী স্মরণে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
মানুষের রাজনৈতিক অধিকার পাওয়ার জন্য যেটা তারা নিঃস্বার্থভাবে চেয়েছিল সেটা ছিল ‘ নিস্ক্রিয় সহনশীলতা’। যদিও এই বিষয়টির প্রয়োগও দেখা যায় গান্ধীজির কর্মনিষ্ঠতার মধ্যে।
এটা শুধুমাত্র সেই লোকগুলোর জন্য যারা সঠিকভাবে দারিদ্রতাকে উপলব্ধি করতে পারে, দারিদ্রতাকে অভিযোজনের সহিত গ্ৰহন করতে পারে, সত্যের অনুসন্ধানকারী যারা দৃঢ়চিত্তে ভয়কে জয় করতে পারে। স্বরাজ লাভের পর সরকার কিভাবে চলবে সেই জন্য আর কোন নির্দেশিকা তিনি দেননি।
সারা বিশ্বে জাতীয়তাবাদের যে ধারণা গৃহীত হয়েছে সেখানে শুধু আধুনিক দেশ এই ধারণা গ্ৰহন করেছে যে গান্ধীজিকে একটি ধর্মীয় মানুষের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। যখন গান্ধীজি ১৯২৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরেন তখন তাঁর মতামত প্রবলভাবে তিরস্কৃত হয়।
এমনকি তাঁর শিক্ষাগুরু গোপালকৃষ্ণ গোখলে যিনি নিজে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন তিনিও প্রবল সমালোচনা করেন। তবুও গরীব মানুষের মুক্তির পথ বের করার জন্য তাঁর গুরুর মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে পরবর্তীকালে হিন্দু স্বরাজের সভায় তাঁর ধারণা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন।
হিন্দু স্বরাজের সভায় অবহেলিত থাকা অস্পৃশ্যতার বিষয়টি তিনি সর্ব প্রথম তুলে ধরেছিলেন। তিনি আমেদাদে ১৯১৫ সালে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
একটি সঙ্কট বিস্ফোরকের মত নেমে আসে যখন তিনি এক অস্পৃশ্য দম্পতিকে সেই আশ্রমে আশ্রয় দেন। সমাজের উচ্চবর্ণের প্রবল আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
ঐ দম্পতিকে আশ্রম ত্যাগ করতে হয়নি। যদি তিনি সমাজের বর্ণাশ্রম প্রথার উপর বিশ্বাস আরো দৃঢ় করতেন তাহলে হয়তো বাকি উচ্চ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে শান্তির সহ অবস্থান আরও বেশী বা কম হতে পারতো।
আরও পড়ুনঃ জলঙ্গীতে গান্ধী জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পথসভা
যখন গান্ধীজি নীল চাষীদের জন্য নীলকরদের বিরুদ্ধে চম্পারণ সত্যাগ্ৰহ আন্দোলন করেন ১৯১৭ সালে, তখন তিনি যে বিষয়টায় গুরুত্ব আরেপ করেন সেটা হল সত্যিই কি নীলচাষীরা নীল সাহেবদের সম্পত্তি? ১৯১৮ সালে গান্ধীজি টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি অনশনের ডাক দেন। যদিও এই অনশনকে কদাচিৎ বিবেচনা করা হয় যে তিনি তাঁর এই ধ্বংসাত্মক মনোভাব আধুনিক শিল্পের প্রতি দেখিয়েছিলেন।
গান্ধীজি ধারণা গুলোকে পরীক্ষা করার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল ১৯২০-২২ সালের অসহযোগ আন্দোলন পর্যন্ত। সেই সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দাবি যাকে কার্যকরী করা হয়েছিল সেটা ছিল খিলাফত আন্দোলন।
এটি ছিল পুরোপুরি ইসলামিক আন্দোলন যেটা চলছিল অটোম্যান তুর্কীর পৃষ্ঠপোষকতায়। এটা ছিল ধর্মীয় আহ্বানের একটি প্রভাব, যদিও এটা ছিল রাজনৈতিক কার্যকলাপের একটি ধর্মীয় উৎস। কিন্তু হিন্দু স্বরাজে এটাকে তিনি উহ্য রেখেছিলেন।
কিন্তু ভারতীয়দের একটি বিরাট অংশ স্বরাজের দাবি তোলে যেটা এই হিন্দু স্বরাজের সঙ্গে যোগ করা হয়। এই সভায় তাৎক্ষণিকভাবে বোঝানো হয় যে শ্রমিকরা সংগ্ৰামের মধ্যে আছে তাদের স্বরাজের জন্য।
তিনি তখন ভেবেছিলেন যে তখনই তিনি শ্রমিকদের পাশে থাকবেন যখন কৃষকেরা তাদের জমিদারদের কর দেবেন না এবং ফলস্বরূপ জমিদাররাও সরকারের কাছে তাদের খাজনা পরিশোধ করতে পারবে না। কিন্তু গান্ধীজির এই অনশন জাতীয় সম্পত্তি রক্ষার্থে থামিয়ে দিয়েছিলেন ১৯২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
৩) গ্ৰাম সম্পর্কিতঃ
অসহযোগ আন্দোলনের অভিজ্ঞতা গান্ধীজিকে ১৯২৪ সালে প্রভাবিত করে। কারণ এর মধ্যে গঠনমূলক কর্মসূচি লক্ষ্য করেন। এরপর তিনি শান্তি খুঁজে পান গণতান্ত্রিক ভোটের মধ্যে, যেখানে তিনি প্রচার করেন সার্বিক ভোটাধিকার বিধান পরিষদে ১৯২৪ সালের একটি লেখায়।
তাঁর গঠনমূলক কর্মসূচি গ্ৰাম্য এলাকায় মনোনিবেশ করে। সেখানে খাদি বস্ত্রের প্রচার অভিযানও চালানো হয়। এর মাধ্যমে তিনি বিদেশী বস্ত্রের ব্যবহার বর্জনের কথাকেও যুক্ত করেন। এই প্রচার অভিযানের পাশাপাশি হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ঐক্য ও অস্পৃশ্যতা দূরীকরণের প্রয়াস চালান।
এর সঙ্গে তিনি সম্পত্তির মালিকানা তত্ত্বের উন্নতি সাধন করেন যেমন দরিদ্র মানুষের সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে নিজেকে প্রদর্শন। মিলের মালিকের তাদের শ্রমিকের দেখভাল ও জমিদারদের তাদের প্রজাদের দেখভাল তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে প্রচার করেন।
এইভাবে গান্ধীজি একেরপর এক শ্রেণী বৈষম্যের উপরে উঠে এসেছিলেন। যাইহোক এই অভিমূখ থামিয়ে রাখা হয়েছিল কিছুটা বাস্তব ফলের আশায় যতক্ষণ না পর্যন্ত কিছু জমিদার তাঁদের প্রজাদের কল্যাণের জন্য এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ গান্ধী জন্ম জয়ন্তীতে পদযাত্রা জেলা কংগ্রেসের
যখন ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয় ১৯২৯ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত চলে আসা কৃষকদের অসহ্য যন্ত্রণাটা কৃষক আন্দোলনের রূপ ধারণ করে।
যদিও এর পাশাপাশি সেখানে একটা শিল্পের শ্রমিক শ্রেণীর উদ্ভব হচ্ছিল। কৃষক ও শ্রমিক উভয়ই, জহরলাল নেহেরু বৈপ্লবিক চেতনা, বিশেষত হাজার ১৯১৭ সালের রাশিয়ার বৈপ্লবিক চেতনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, একটি বিশেষ আবেদন জানাই।
গান্ধীজী এর আগেই জওহরলাল নেহেরুকে একজন জনপ্রিয় মুখ হিসাবে পরিচিতি করেছিলেন। সেখানে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে তিনি তখন থেকেই প্রস্তুত করেছিলেন নেহেরুর ভাবনাকে গ্রহনযোগ্য করে তোলার। নেহেরুকে সমর্থন করতে তাই তিনি নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন করাচি অধিবেশনে ১৯৩১ সালের ৩১এ মার্চে।
অধিবেশনের খসড়া অনেক নীতি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল গান্ধীজীর অনুকূলে। যদিও এই বিষয়টি তিনি ঘোষণা করেননি। যেমন স্ত্রী ও পুরুষের সমান অধিকারই নয় কর্মক্ষেত্রে সমান নিয়োগপত্র প্রদান এবং ব্যবসার অনুশীলনের ক্ষেত্রে কৃষি করের পরিমাণ হ্রাস, রাষ্ট্রের শিল্পকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এবং অবশেষে গরিবের ঋণের পরিমাণকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ে যাওয়া।
৪)পুনা চুক্তিঃ
এই সময়ে গান্ধীজি তাঁর প্রধান কর্ম কলাপের মধ্যে বেছে নেন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মঙ্গল কামনা যাদের তিনি হরিজন বলে উল্লেখ করতেন।
১৯৩২ সালের ব্রিটিশ সরকারের সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা নীতির দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তিনি গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতিতে হরিজনদের অধিকারের জন্য অন্যদের সঙ্গে বিরোধিতায় লিপ্ত হন। এই পুনা চুক্তির মাধ্যমেই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর নেতাদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের উচ্চশ্রেণীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার একটা পটভূমি তৈরি হয়।
এই চুক্তির ফলেই হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির সংখ্যা প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থায় বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় আইনসভায় পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ১৮ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রতিনিধি খোঁজার জন্য আইন সভায় প্রারম্ভিক ভোটের নিয়ম ছিল।
১৯৩২ সালে পুনা চুক্তির পরবর্তীকালে গান্ধীজী জাতীয় স্তরে আন্দোলন শুরু করেন অস্পৃশ্যতা ও হরিজনদের অবস্থার উন্নতির জন্য। গান্ধীজী শ্রেণিবৈষম্যকে কোনভাবেই সম্মতি প্রদান করেননি বরং সেগুলিকে এড়িয়ে গেছেন বা বর্ণাশ্রম এর জন্য কোন দার্শনিক তত্ত্বের আশ্রয়ও নেন নি।
এটা প্রকাশ করা খুব কঠিন কিভাবে ১৯৩৯-৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলন গান্ধীজীর ধারণা পরিবর্তন করে দিয়েছিল। এটা বলা সম্ভব যে গান্ধীজী তবুও তার মনের মধ্যে গ্রামীণ ভারতের জন্য, দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য এবং ধনীদের দরিদ্রদের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা হিন্দু স্বরাজে তুলে ধরেন। কিন্তু বৃহৎ অর্থে শ্রেণীবৈষম্যের অন্যায্যতা ও মহিলাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অবতারণা আরো বেশি বেশি প্রকট হয়ে পড়ে।
সর্বোপরি তাঁর হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের চেতনা আরও প্রকট হয় যখন তিনি সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে জগদ্দল পাথরের মতো দাঁড়ান এবং গোটা দেশকে স্বাধীনতার আবেশে মুড়ে দেন।
১৯৪৮ সালে ভারত পাকিস্তানকে তাদের প্রাপ্য ৫৫ কোটি টাকা দিয়ে দেন যখন উভয় দেশ একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে শামিল এবং দিল্লির মুসলিমদের তাদের বাসস্থান দিল্লিতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দেন যেখান থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এখানেই লুকিয়ে রয়েছে গান্ধীজীর আন্তর্জাতিকতার আসল তর্কের বিষয় এবং নিছক মানবতার ভাবনা। যেটা ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি তিনি তার জীবনের বিনিময়ে চুকিয়ে ছিলেন। এটা সর্বদা স্মরণীয় যে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গান্ধীজি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584