নীলবসনা দুর্গার ব্যতিক্রমী ঠিকানা চিল্কিগড়

0
361

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

৪৩৫ বছরের ইতিহাস। সঙ্গে মিলে মিশে মিথ। ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরের অন্দরে নানা গল্পকথা।সাড়ে চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাস। স্থানীয়দের বিশ্বাস, চারদিকে গভীর জঙ্গলের মধ্যে সামন্ত রাজাদের এই মন্দিরে আজও অষ্টমীর রাতে নিজেই নিজের ভোগ রান্না করেন দেবী।পুজো উপলক্ষে দর্শকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে থাকে মন্দির চত্ত্বর।

নিজস্ব চিত্র

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ঝাড়গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদী।নদীর তীরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে কনক দুর্গা মন্দির।দেবী এখানে অশ্বারোহিনী চতুর্ভূজা।অষ্টধাতুর এই মূর্তি ঘিরেই জমে ওঠে দুর্গাপুজো।শহুরে কোলাহল থেকে বহু দূরে কনক দুর্গার অবস্থান।প্রাচীন রীতিতে ব্যতিক্রমী আড়ম্বরহীন , ঝাঁচকচকবিহীন পুজো।
চিলকিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ তৈরি করেন এই মন্দির।

নিজস্ব চিত্র

স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্ত্রীর হাতের কাঁকন দিয়ে মূর্তি তৈরি করান তিনি। স্থানীয়রা বলেন, আগে নাকি এখানে নরবলি হত।দেবীর নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়।তবে বলি আজও হয়।পাঁঠাবলি অষ্টমীর রাতে।মন্দিরের পাশে গভীর জঙ্গলের মধ্যে।নিশা পুজোয় অংশ নেন শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরাই। স্থানীয়দের বিশ্বাস , নবমীর ভোগ রান্না করেন স্বয়ং দুর্গা।
মাও আমলে ২০০৭-২০০৮-য়ে দুবার চুরি যায় মূর্তি।নতুন করে তৈরি হয় অষ্টধাতুর মূর্তি।মন্দিরে বসে সিসিটিভি। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নেয় কনকদুর্গা মন্দির।মন্দির লাগোয়া বিশাল ভেষজের জঙ্গল।

নিজস্ব চিত্র

পরিচর্যার অভাবে দামী দামী ওষুধের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।বর্তমানে গাছের রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে রক্ষী। তৈরি হয়েছে চেকপোস্ট।ভগ্নপ্রায় চিলকিগড়ের রাজবাড়ি ও কনকদুর্গা মন্দিরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী।পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে পুরো এলাকা।

আরও পড়ুনঃ জেলা বিজ্ঞান মেলায় কেশিয়াড়ীর খাজরা স্কুলের মডেল সেরা

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here