সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
সাবেকী পুজোর সাথে বর্ধমানের সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিড়ে মানুষের ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে।বর্ধমান সদস্য ছাড়াও মফস্বল এলাকাগুলিতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। পূর্ব বর্ধমানের মানকরে উল্লেখযোগ্য দুটি পুজো মানকর কলোনি এবং মানকর স্টেশন বাজারের পুজো।থিম করে পুজোর রীতি মানকর কলোনিতে অন্যদিক স্টেশন বাজারের পুজো আগে বংশ পরম্পরায় চললেও বর্তমানে সার্বজনীনের রূপ পেয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন এই পুজো। বিশেষত্ব দেবী মূর্তিতে।এখানে দেবী শুধু একা আসেন না।দেবীর সাথে ছয় সখী উপস্থিত।
পারিবারিক এই পুজো যখন প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল অর্থ সহ বিভিন্ন কারনে তখন পাড়ার যুবক ছেলেরা এগিয়ে আসে এবং নব উদ্যোমে পুজো শুরু করে। তবে পুজোর ক্ষেত্রে পুরনো রীতিই মেনে চলা হয়।আলাদা করে মণ্ডপ তৈরি করতে হয়না। সারাবছর নির্দিষ্ট মন্ডপেই দেবীর অবস্থান।এক সদস্যের কথায় জানা গেল পুজো একদিন ই হয় তাতে সপ্তমী থেকে নবমী পুজো হয়। অন্যদিকে কলোনির পুজো হয় থিম করে। এবছর মণ্ডপ সজ্জায় মুখোশ, ঘোড়া ও ময়ূরের পুতুল ব্যবহার করা হয়েছে।মণ্ডপ সজ্জা থেকে আলোক সজ্জা সবই নজরকাড়া।এখানে প্রথা মেনে চারদিন ধরেই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। গৌরাঙ্গ হালদার বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজো বললেই চন্দননগর বা কৃষ্ণনগরের নাম মনে আসে। আমাদের এদিকে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন ব্যাপক না হলেও বর্ধমানের পুজো এক্ষেত্রে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুর প্রতিমা নিয়েও জালিয়াতি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584