নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জি বাংলায় আসছে ধারাবাহিক ‘রিমলি’। সেখানে নাম ভূমিকায় ইধীকা পাল। ইধীকাকে এর আগে দেখা গিয়েছে ‘কপালকুণ্ডলা’ ধারাবাহিকে পদ্মাবতীর চরিত্রে। ‘রিমলি’র সৌজন্যে প্রথম লিড রোলে দেখা যাবে তাঁকে। নবনীতা দত্তগুপ্তকে একান্ত সাক্ষাৎকারে কী জানালেন ইধীকা?
নবনীতাঃ রিমলি চরিত্রটা কতখানি চ্যালেঞ্জিং?
ইধীকাঃ ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। আর আমি চ্যালেঞ্জ নিতে খুব ভালোবাসি। নতুনভাবে নিজেকে দেখতে কে না চায়? আমিও সেরকমই। নিজেকে নতুন লুকে, নতুন ভূমিকায় আগামীতে দেখতে চাই আরও।
নবনীতাঃ যে সময়ে দাঁড়িয়ে ‘রিমলি’র সম্প্রচার শুরু হচ্ছে সেই সময় চাষীভাইরা খবরের শীর্ষে, আলোচনার কেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে চরিত্রটা কতখানি প্রশান্তি দিচ্ছে?
ইধীকাঃ ব্যাপারটা খুব কাকতালীয়। এই ধারাবাহিকটা অনেকদিন আগেই আসার কথা ছিল। ঘটনাচক্রে আসেনি৷ কিন্তু অদ্ভুতভাবে যে সময়ে সিরিয়ালটা এল সেই সময়েই চাষীভাইরা খবরের কেন্দ্রে। গল্পটাও ম্যাচ করে গিয়েছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সঙ্গে৷ সুতরাং একেবারে অন্যরকমের একটা গল্প। আর পাঁচটা গল্পের মতো নয়। অনেক বেশি মরমী। চাষীভাইদের জীবনের অনেক সত্য সামনে আসবে, যা অনেকেরই অজানা। স্টোরিলাইনটা সকলের ভাল লাগাবে বলে আশা রাখি আমি।
নবনীতাঃ প্রথম লিড রোলেই গ্রাম্য লুক। কতটা এনজয় করছ?
ইধীকাঃ এই প্রসঙ্গে একটা মজার কথা বলি। আমার সঙ্গে নাচ করত এক দিদি, সে প্রোমোতে আমায় দেখে তার মাকে বলেছিল -“এই মেয়েটাকে ইধীকার মতো দেখতে।” এরপর আমার ফেসবুকে পোস্ট দেখে সে জানতে পারে যে ওটা আমিই। আমায় চিনতে না পেরে সবাই শকড (Shocked) হচ্ছে এটা দারুণ লাগছে আমার৷
নবনীতাঃ তুমি কি নাটক বা থিয়েটার করেছো কখনও? কিংবা মডেলিং?
ইধীকাঃ না। কিন্তু ইচ্ছে আছে নাটক করার। আমি নাচ করি। ফলে, এক্সপ্রেশন দেখাতে নাচটা আমায় সাহায্য করবে অনেক।
নবনীতাঃ তা হলে টেলিভিশনে আসাটা কীভাবে হল?
ইধীকাঃ অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে অভিনয় করার৷ শুরুয়াতটা কীভাবে হবে বুঝতে পারছিলাম না। ফেসবুকে অডিশনের খবর পাই। অডিশন দিই আর চান্সও পেয়ে যাই পদ্মাবতী চরিত্রের জন্য৷ তবে, নিজেকে তৈরি হতে হবে আরও অনেক। তাই মঞ্চে অভিনয় করার পরিকল্পনা আছে৷
আরও পড়ুনঃ হাজির ‘আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা’র অফিসিয়াল পোস্টার
নবনীতাঃ শুটিং কেমন এনজয় করছ?
ইধীকাঃ দারুণ। ইউনিটের সবাই খুব ভাল। খুব সাপোর্টিভ। ঝাড়খণ্ডের একটা জায়গায় প্রোমো শুট হয়েছে। আর আমাদের ফ্লোর ‘ভিলাইন স্টুডিও’তে৷
নবনীতাঃ অ্যাক্রোপলিস-এর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
ইধীকাঃ খুব ভাল। এই সংস্থার সর্বময়ী কর্ত্রী স্নিগ্ধা দি মাটির মানুষ। প্রচুর সেলফি তুলেছি দিদির সঙ্গে। দিদি নিজেই ডেকে ডেকে সবার সঙ্গে ছবি তোলেন৷ দারুণ একজন মানুষ। খুব ইন্টারেস্টিং স্নিগ্ধা দি।
আরও পড়ুনঃ ওয়েব সিরিজ বানাতে চলেছেন অঞ্জন দত্ত
নবনীতাঃ নতুন কাজের জন্য অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে।
ইধীকাঃ থ্যাঙ্ক ইউ।
নবনীতাঃ ভবিষ্যতে আরও অনেক ফোন করব।
ইধীকাঃ আমিও তোমার ফোন রিসিভ করব, পাক্কা প্রমিস।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584