বিশ্বের দামী খাবার

0
230

ওয়েব ডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ

জাফরান: জাফরানের নাম যদি শুনে থাকেন, এটাও নিশ্চয়ই জানেন যে এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামী মশলার একটি। স্বর্ণের চেয়েও  দামী এজন্যে জাফরানের আরেক নাম “লাল স্বর্ণ। জাফরান  একটি ফুলের গর্ভমুন্ড। এটি মূলত খাদ্যে ব্যবহার করা হয় রঙিন করতে। যদি ওজনের তুলনা করেন, এটি নিঃসন্দেহে স্বর্ণের চেয়ে দামী।  কারণ  যে ফুল থেকে জাফরান সংগ্রহ করা হয়, সেটি ফুটে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য, শরৎকালের শুরুতে । এক কিলোগ্রাম জাফরান সংগ্রহ করতে অন্তত  প্রায় তিন লাখ ফুলের দরকার।

ক্যাভিয়ার : ক্যাভিয়ার আসলে এক ধরণের সামুদ্রিক মাছের ডিম। এর ডিমকে  বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারের একটি বলে গণ্য করা হয়।  ক্যাভিযার খুবই বিরল। কেবল মাত্র কাস্পিয়ান সাগর এবং কৃষ্ণ সাগরে এই মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এই মাছ এখন বিপন্ন প্রায়। খুব কম মাছের ডিমই এখন বৈধভাবে কেনা-বেচা হয়। এই মাছটিকে হত্যা করেই কেবল এর ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব।

ছবিঃ প্রতিবেদক

ঝিনুক: উনিশ শতকের শুরুতে ঝিনুক ছিল খুব সস্তা। উপকূলীয় এলাকার শ্রমজীবী লোকজনের অন্যতম প্রধান খাবার ছিল এটি। কিন্তু অতিরিক্ত ঝিনুক আহরণ এবং সমূদ্র দূষণের ফলে ঝিনুকের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এবং ফলে এর দাম বেড়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় ঝিনুক। কিন্তু লন্ডনের কোন দামী রেস্তোঁরায় এক ডজন ঝিনুক খেতে আপনাকে অন্তত ৬৫ ডলার খরচ করতে হবে। তারপরও এর কদর কমছে না। অনেকে তো মনে করে ঝিনুকের মধ্যে আছে যৌনশক্তি বর্ধক উপাদান।
সাদা ট্রাফল : সাদা ট্রাফল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্লভ ছত্রাকগুলোর মধ্যে একটি।  উত্তর ইটালির পাইডমন্ট অঞ্চলের কিছু গাছের শেকড়ের মধ্যে পাওয়া যায় । সাদা ট্রাফলের চাষ করা যায় না। এটি নিজে থেকে হয়। অনেকে এই ট্রাফলের চাষ করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণেই সাদা ট্রাফলের দাম এত বেশি। ম্যাকাও এর এক ক্যাসিনো মালিক ২০০৭ সালে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন এটা কিনতে। সেই ট্রাফলটির ওজন ছিল দেড় কেজি

ইবেরিকো হ্যাম : হ্যাম, আর ইবেরিকো হ্যাম। এই বিশেষ ধরণের শুকরের মাংস আসে কেবল মাত্র স্পেন আর পর্তুগালের একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে। যেখানে ওক গাছের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় কালো ইবেরিয়ান শুকর । ওক গাছ থেকে ঝরে পড়া ফল খেয়ে বাঁচে এই শুকর। ইবেরিয়ান হ্যাম আসে এই শুকরথেকে। প্রায় তিন বছর ধরে এই শুকরেরমাংস প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কখনো কখনো চার বছর। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসেবে সবচেয়ে দামী ইবেরিয়ান শুকরের একটি পা সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮০ ডলার দামে বিক্রি হয়েছিল।
ওয়েগু বিফ : ওয়েগু বিফ মানে আসলে জাপানি গরুরমাংস। এই গরুরমাংসের পরতে পরতে থাকে চর্বি। যখন রান্না করা হয়, তখন এই চর্বি গলে মাংসে মিশে যায়। ফলে মাংসটা থাকে খুবই নরম। মুখে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হবে মাংসটা যেন গলে যাচ্ছে। এর দাম এত বেশি হওয়ার কারণ, এসব গরুপালতে খরচ অনেক।  জাপানে সবচেয়ে দামি ওয়েগু বিফ হচ্ছে  প্রতি কেজির দাম ৬৪০ ডলার।

কফি: এক কাপ কফি কেন দামী খাবারের তালিকায়, সে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু এটি যেমন তেমন কফি নয়। এই কোপি লুয়াক কফির দাম প্রতি কেজি ৭০০ ডলার। যে কফি বীন থেকে এই কফি তৈরি হয়, সেই বীনগুলোকে এক ধরণের বিড়ালকে খাওয়ানো হয়। এই বিড়াল কফি বীন গুলো খাওয়ার পর সেগুলো তার পাকস্থলীর এসিডে জারিত হয়। এরপর বিড়ালের মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে এই কফি বীন। সেই বীন থেকে তৈরি হয় কফি।

আরও পড়ুনঃ চকলেটের তৈরি বাড়ি

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here