নবনীতা দত্তগুপ্ত, কলকাতাঃ
গতকাল মোমবাতি জ্বালানোর নামে যে বাজি পোড়ানো, ফানুস ওড়ানোর ঘটা দেখা গেল প্রকাশ্যে তার তীব্র বিরোধিতা করেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন অনেকেই। কেউ বাতি জ্বালিয়েছেন কেউ জ্বালাননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ওয়ালে মানুষ তার নিজের কাজকর্ম, মতামত, ভাব প্রকাশ করতেই পারেন৷ তাতে কারো কিছু বলার নেই৷ কিংবা যদি কারো কোনও বাক্যে আপত্তি থাকে সেটা নিয়ে মতানৈক্যের ঝড় তোলাও অন্যায় নয়। বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া হবে না এমনটা হয় কখনও? কিন্তু পেটানোর হুমকি! তাও সেটা মজা করে নয়, রীতিমতো রনং দেহি হয়ে! এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না কি?হয়েছে তো এমনটাই।
গতকাল অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া একটি পোস্টে ঝড় ওঠে। অনেকেই তাঁর পোস্টে আপত্তি তোলেন। অনেকেই সমর্থন করেন। আবার একজন প্রকাশ্যে অভিনেতাকে পাড়ায় পেটানোর হুমকি দেন৷ পাশাপাশি অকথ্য এবং কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করেন। প্রয়োজনমতো প্রত্যুত্তর দেন জয়জিৎ।
তাতেও থামেন না সেই ব্যক্তি। জয়জিৎকে পাড়ায় গিয়ে পেটানোর হুমকি দেন সেই ব্যক্তি। প্রহারের হুমকি বলে কথা। আজ যে ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা তাতে বেঁচে থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ। এই সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি নিজে কতখানি শারীরিকভাবে সুস্থ বা সুরক্ষিত আছেন বা থাকবেন কিনা নিজেই জানেন না, ওদিকে অন্যকে প্রহারের হুমকি দিচ্ছেন!
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের মধ্যে দুঃস্থ মানুষদের খবর নিতে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ রায়গঞ্জের পুর কাউন্সিলর
মজার কথা হল, ওই ব্যক্তি ছাড়াও যাঁরা অভিনেতার মতামতের বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরাও ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের কমেন্ট-এ নিজেকে সুরক্ষিত নয় বলে মনে করেন অভিনেতা। তিনি হরিদেবপুর থানার অফিসার ইন চার্জ এবং সাইবার পুলিশ স্টেশনের অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এবং নিজের সুরক্ষার জন্য সাহায্য প্রার্থণা করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584