দক্ষিন ২৪ পরগনা,সিমা পুরকাইতঃ
শিব চতুর্দশি উপলক্ষ্যে পনেরো দিনের মেলা বসেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার সুন্দরবনের পাথর প্রতিমা ব্লকের রামগঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের গবিন্দপুরে। ১০৬ বছর ধরে চলে আসছে শিব চতুর্দশির এই পূজো । সুন্দরবন ও সুন্দরবন লাগোয়া বহু মানুষ আসেন গবিন্দপুর শিব মন্দিরে।
ভক্তদের ভক্তি,বিশ্বাসে বাবা ভোলানাথ পূজিত হয়ে আসছেন এখানে। কথিত আছে গরান ,গেওয়া,সুন্দরি,হোগলা ভরা হিংস্র জন্তুদের জঙ্গল পরিস্কার করে বসত গড়ে তুলেছিলেন জমিদার গোবিন্দ প্রসাদ নন্দ ।সনাম ধন্য জমিদার তৎকালিন ইংরেজ শাসনেয়আধিপত্ত গড়েতুলেছিলেন পাথর প্রতিমায় ।
জমিদার স্বপ্নাদেশে জঙ্গল কেটে উদ্ধার করেন কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ। আটচালা নির্মিত প্রথম পূজিত হন বাবা ভোলেনাথ । জমিদারদের প্রতিষ্ঠাতা দেবাদিদেব মহাদেব শিবচতুর্দশী তিথি অনুযায়ী পূজিত হন জাগজমক করে। অবলুপ্তি ঘটেছে জমিদার প্রথার। দেবাদিদেবের পূজো আজ ভক্তদের সবার মাঝে। পাঁচ পুরুষ ধরে নিত্য সেবা করে আসছেন নন্দ পুরহিত। বর্তমানে শিবশঙ্কর নন্দ পুরহিত সেবায়েত রয়েছেন মন্দিরে।
নিত্যপূজায় মানষিক মঙ্গলে ভক্তদের বিশ্বাসে ছুটে আসে গবিন্দপুর ভোলেবাবার মন্দিরে । দীর্ঘ ১০৬ বছর ধরে শিবচতুর্দশিতে পাথর প্রতিমা,কাকদ্বীপ ,নামখানা সাগরদ্বীপ ,বকখালি,ডায়মন্ড হারবার থেকে বহু ভক্ত আসেন এই পূজোয়। পূজো ঘিরে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে গবিন্দপুর গ্রাম । বাঁকে করে জল নিয়ে প্রবীন নবীনরা নির্জলা উপবাসে বাবা ভোলানাথের মাথায় জল ঢালেন। মনস্কামনা পুরানের আশায় ভির জমে দিবা রাতে। পনেরো দিন ধরে চলে উৎসব। নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকে এই পূজো ঘিরে।
চলতি বছরে পূজোর উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান বম্কিম চন্দ্র হাজরা । পায়রা উড়িয়ে পূজার সূচনা করেন পাথর প্রতিমা বিধায়ক সমীর কুমার জানা। ভক্তদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারীসভাপতি, কর্মদক্ষ্যরা। মন্দিরকে শ্রীবৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লক্ষ্য টাকা অনুদানের ষোষনা করেন বম্কিম চন্দ্র হাজরা। ভক্তি বিশ্বাসে শিবচতুর্দশি উপলক্ষ্যে পনেরো দিন ধরে ভির জমান সুন্দরবন ও সুন্দরবন লাগোয়া বহু মানুষ ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584