ফুটন্ত কড়াইয়ে পড়ে মৃত্যু বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বালকের

0
132

সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

fall on the boiling pot and dead
নিজস্ব চিত্র
fall on the boiling pot and dead
মৃত রবিশংকর বাগ।নিজস্ব চিত্র

গুড় তৈরির গরম কড়াইয়ে পড়ে মৃত্যু হল এক প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রের।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের গঞ্জের বাজারে রাজরাজেশ্বর পুরে।ঘটনার প্রকাশ এই যে, মৃত রবিশঙ্কর বাগ (১১) এর পিতা সহদেব বাগ জন্ম থেকেই বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী।গত ছয় মাস আগে পর্যন্ত স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত।কিন্তু সুপারিশ করে কয়েক মাস আগে বরদাপুর প্রতিবন্ধী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করে তার বাবা।সহদেব বাগ এবং মা অনিমা বগ অভাব অনটনের জন্য দিল্লিতে লোকের বাড়িতে পরিচারক পরিচারিকার কাজ করে।সেই প্রতিবন্ধী স্কুল থেকে ২৫ শে ডিসেম্বর মৃত রবিশঙ্কর তার নিজের বাড়িতে দাদু এবং দিদিমার কাছে আসে,আজ বিকালে স্কুলে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু সকালে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেজুর গাছের রস আগুনে সালতি(কড়া) করে ফুটিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছিল।খেলতে খেলতে সে ফুটন্ত গুড়ের গরম কড়াইয়ে পড়ে যায়।মুখ বাদে গলার নিচের অংশ ডুবে যায়।কেবলমাত্র মুখটা উপরের দিকে তুলে রাখে।তখন উনান জ্বাল দিচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।তিনি তুলতে না পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে এলাকার মানুষজন গিয়ে তাকে তুলে পুকুরের জলের মধ্যে রেখে গায়ে জড়ানো গুড় গুলোকে ধোয়ার চেষ্টা করে।কোলগেট মাজন পোড়া অংশে লাগিয়ে দেয়।পরে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে।স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি রবিশঙ্করকে,হাসপাতালেই সে মারা যায়। মা-বাবাকে দিল্লিতে খবর দিলেও দিল্লি থেকে আসতে দুদিন লেগে যাবে এলাকার মানুষ সৎকারের জন্য চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন।এই নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া রয়েছে।

fall on the boiling pot and dead
মৃতের কাকা সুব্রত বাগ।নিজস্ব চিত্র
fall on the boiling pot and dead
প্রতিবেশী মামনি দাস।নিজস্ব চিত্র
fall on the boiling pot and dead
স্থানীয় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রেরল শিক্ষিকা।নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুন: টানাটানির সংসারে নিত্য অশান্তি, আত্মঘাতী গৃহবধূ

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here