নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ
এক প্রসূতির মৃত্যুকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মৃত প্রসূতির নাম দীপা মণ্ডল(২৩)।
জানা গেছে, বিনপুর থানার অন্তর্গত আঁধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন দীপা। তাঁর স্বামী মিঠুন পেশায় ওষুধের দোকানের কর্মী। তিন বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। গর্ভবতী অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন দীপা। শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেনি। তবে জেলাশাসককে লিখিতভাবে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।
দীপার স্বামী মিঠুন মণ্ডলের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল ন’টায় ডাক্তার এসে বলেন, বাচ্চা নড়াচড়া করছে না। তাই সিজার করতে হবে। সেই মতো তাঁরা কাগজে সই করে দেন। পাঁচ মিনিট পরেই চিকিৎসক বেরিয়ে এসে বলেন রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সিসিইউতে নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ বারাসতে হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত
আরও পড়ুনঃ ইলেকট্রিক শক খেয়ে মৃত্যু এক রাজমিস্ত্রির
সিসিইউতে ভর্তির পর জানানো হয় তাঁর স্ত্রীর জ্ঞান নেই। দুপুর দেড়টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে তাঁদের বলা হয়, রোগীর অন্য কোনও রোগ ছিল। লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপরেই তাঁদের জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে দীপার।
ঘটনার কথা জানতে পেরে মৃতার পরিজনেরা ভিড় জমায়। সিসিইউর সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন দীপার স্বামী মিঠুন মণ্ডল ও তাঁর মা দিপালী মণ্ডল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মির্ধা বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584