নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ
‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে ঝাড়গ্রামে পতিত জমিতে ফার্ম হাউস তৈরি করে বিকল্প রোজগারের পথ দেখাবে প্রশাসন। জেলায় ১১০ একর পতিত জমিতে ১৫টি ফার্ম হাউস তৈরি হচ্ছে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এর ফলে জেলা জুড়ে স্থানীয় মানুষরা যেমন কাজ পাবেন, তেমনি তাঁরা অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন।
জেলার ১৫টি ফার্ম হাউসে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সূচনা হয়। জানা গেছে, জেলার আটটি ব্লকের পতিত জমিতে এই ফার্ম হাউস তৈরি হবে। এদিন প্রতিটি ফার্ম হাউসে চারা গাছ লাগান প্রশাসনের আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যেসব জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে না সেই সমস্ত জমি চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। সেই জমিতে সমস্ত দফতর মিলে ফার্ম হাউস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ওই পতিত জমিতে কাজু, আম, পেয়ারা, বেদানা, নারকেল, সফেদা, লেবু সহ বিভিন্ন ফলের গাছ লাগানো হবে। এছাড়াও মুরগী চাষ, ছাগল চাষ ও হাঁস চাষ করা হবে। ওই ফার্ম হাউসগুলিতে সৌর শক্তির সাহায্যে গভীর নলকূপ তৈরি করা হবে।
এছাড়াও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা হবে। এজন্য স্থানীয় সদস্যদের নিয়ে কো-অপারেটিভ সোসাইটি গঠন করা হবে। এই ফার্ম থেকে যে লাভ হবে তার মাধ্যমে কো-অপারেটিভ সদস্যরা উপকৃত হবেন। জানা গিয়েছে, জেলায় ১১০ একর জায়গায় প্রথম পর্যায়ে ১৫ টি ফার্ম হাউস তৈরি করা হবে। তাতে ১ হাজার ২৭৩টি পরিবারের কর্মসংস্থান হবে। ধীরে ধীরে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে বলে প্রশাসনের দাবি।
আরও পড়ুনঃ কাজের দাবিতে দুই করোনা জয়ী সটান হাজির বিডিও-র চেম্বারে
ফার্ম হাউসের উৎপাদিত জিনিসের মার্কেটিংয়ের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি সুফল বাংলার মাধ্যমে বড় বড় মার্কেটে উৎপাদিত জিনিসপত্র পাঠানো হবে। লালগড় ব্লকে হারুলিয়া মৌজায়, বেলপাহাড়ি ব্লকের গড়পাহাড়, কানিমহুলি, পারুশুলি মৌজায়, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সারিয়া, সাতমা, ভুলনাপুর মৌজায়, জামবনী ব্লকের কইমি, পানপাড়া, দখিনা মৌজায়, ঝাড়গ্রাম ব্লকের আঁধারিশোল, সাঁকরাইল ব্লকের কাটনিমাড়ো মৌজায়, নয়াগ্রাম ব্লকের ভালিয়াঘাঁটি মৌজায় ফার্ম হাউস তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে প্রথম, গ্রামীণ হাসপাতালে বসানো হল ট্রুন্যাট মেশিন
এই ১৫টি ফার্ম হাউসে দশ হাজার আম গাছ, ১ হাজার ২০০ পেয়ারা গাছ, দেড় হাজার কমলালেবু গাছ, ২ হাজার ৬০০ আপেল গাছ, চারশো সফেদা, দু’শো লেবু গাছ, তিন হাজার ড্রাগন ফল, ছয় হাজার কাজু গাছ, ১ হাজার ২০০টি নারেকল গাছ লাগানো হবে। ১৫টি ফার্ম হাউসের মধ্যে পাঁচটি জায়গায় হাঁস, ন’টি জায়গায় ছাগল, ন’টি জায়গায় পোল্ট্রি, দু’টি হ্যাচারি, দু’টি জায়গায় গরু প্রতিপালন করা হবে। এই ১৫টি ফার্ম হাউসের দায়িত্বে রয়েছে ২৯ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পাঁচটি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, দু’টি মুক্তিধারা গোষ্ঠীর সদস্যরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584