সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
একটা সময় দক্ষিন সুন্দরবনে হেক্টরের পর হেক্টরের জমিতে খেসারি কড়াই চাষ হতো। আমন ধান চাষের জমি থেকে ধান ওঠার পরই শুরু হতো খেঁসারি কড়াই চাষ।সময়ের সাথে সাথে বদলেছে চাষের ধরন।সাথি ফসল খেসারি কড়াই চাষের খরচ কম থাকা সত্ত্বেও আজ চাষির কাছ থেকে হারাতে বসেছে সাথি প্রকল্পের কড়াই চাষটি।
দক্ষিন সুন্দরবনের সাতটি ব্লকের মধ্যে বেশির ভাগ দেখা যেতো কাকদ্বীপ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম গ্রাম পঞ্চায়েতের গবিন্দপুর গ্রামে।এছাড়া নামখানা ব্লকের নারায়নপুর ও নামখানায়। খামখেয়ালি আবহাওয়া সঙ্গে জল নিকাশি সমস্যা বর্ষার জমা জল নষ্ট করেছে খেঁসারি চাষের জমি।বারংবার ক্ষতির মুখে পরে চাষ থেকে মুখ ফিরিয়েছে চাষিরা।বেছে নিয়েছে সবজী চাষ,মুগ কড়াই,কোথাও আবার আলু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।
মূলত দো-আঁশ এবং এটেল দো-আঁশ মাটিতে খেসারি কড়াই ভালো জন্মে বলে দাবি চাষিদের।খেসারি প্রধানত বোনা হয় আমন ধান কাটার আগে। রিলে ফসল হিসেবে আবাদ করা হয় এই ফসল। সেজন্য জমি চাষের প্রয়োজন হয় না।একক ফসল হিসেবে আবাদের ক্ষেত্রে ৩-৪ টি চাষ ও মই দিতে হয় সাথি ফসলে।রিলে ফসলের ক্ষেত্রে আমন ধানের পরিপক্কতাকাল এবং জমির রসের পরিমাণের উপর খেসারি বীজ বপনের সময় নির্ভর করে।এক্ষেত্রে কার্তিক মাস থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (মধ্য-অক্টোবর থেকে নভেম্বর) পর্যন্ত বীজ বপন করতে হয় চাষিদের।একক ফসলের জন্য মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর) মাসে বীজ বপন করতে হয়।রিলে ফসল হিসেবে চাষ করলে আমন ধান কাটার প্রায় এক মাস আগে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা অবস্থায়।যা অধিক পরিমানে হলে ক্ষতি হয়।বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয় চাষিদের।
আরও পড়ুনঃ চোলাই রুখতে আবগারি দফতরের হানা,গ্রেফতার এক
কড়াই চাষি খোকন গিরি বলেন প্রতি একরে ১৬-১৮ কেজি বীজ লাগে।তবে রিলে ফসলের ক্ষেত্রে বীজের পরিমাণ কিছু বেশি দিতে হয়।চাষি পবিত্র প্রামানিক জানান গ্রামের যেমন নেই কোন নিকাশি ব্যবস্থা,ঠিক তেমন সুতি খাল সংস্করণ না হওয়াই চাষ নিয়ে সমস্যায় পরেন চাষিরা।
অন্যদিকে শীত থাকলেও কুয়াশার দাপটে গাছে রোগ হওয়াই আবারো ক্ষতির মুখে খেসারি কড়াই চাষি।নামখানা ব্লকের সহসভাপতি ধীরেন কুমার পাত্র জানান চাষিদের কথা মাথায় রেখে কৃষি দপ্তরের মধ্যে দিয়ে এলাকায় খেসাড়ি চাষ ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584