সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
প্রাক বর্ষা সময়ে আসলেও, সময়মতো ঘোরবর্ষা না আসাই চিন্তিত সুন্দরবন ও সুন্দরবন লাগোয়া ধান ও পান চাষিরা।
একদিকে ফনি ঘূর্নিঝড়। অন্যদিকে বায়ু ঘূর্নিঝড় দক্ষিন পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোর জেরে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতন দেখা নেই বর্ষার।
১ জুন থেকে কেরলে ঢুকেছে প্রাক বর্ষা।১০ জুন প্রাক বর্ষা দক্ষিন সুন্দরবন ও সুন্দরবন লাগোয়াই ঢুকলেও বৃষ্টির পরিমান অল্প।ইতিমধ্যে নীচু জায়গাতে শুকতো আমন ধানের বীজ বপন করেছেন চাষিরা।অতিরিক্ত আর্দ্রতা আর চলতি বছরে স্বল্প বৃষ্টিতে হেক্টরের পর হেক্টর জমির তোলা ধানের গাছ রোগ ধরেছে।কোথাও নষ্ট হয়েছে আমন বীজের চারা।ফলে শুকনো বীজের চাষিদের পরেছে কপালে ভাঁজ।
প্রাক বর্ষায় সময় মতন ঢুকেছে ঠিকই।ফলে স্বল্প মেয়াদি চাষিরা শুকনো বীজের চারা করতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন।ঘোর বর্ষার দিকে তাকিয়ে রয়েছে দীর্ঘ মেয়াদি কাদা তোলার চাষিরা।
পরিমান মতন বৃষ্টি না হলে অথৈই জলে যাবে এবারের আমন চাষ।আমন চাষের মতো ক্ষতির মুখে পরবে পানচাষও।আর্দ্রতা থাকায় বেশির ভাগ পান বরজে দেখা দিয়েছে রোগ।
প্রাক বর্ষার অবসান কাটিয়ে জুলাই মাসে পুরো বর্ষার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন হাজারো চাষি।স্বল্প বৃষ্টি হলেও সময় মতো ঢুকেছে প্রাক বর্ষা।
আরও পড়ুনঃ বজ্রঘাতে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু
তাই জুলায়ের প্রথম সপ্তাহে পুরো বর্ষা ঢুকবে বলে আশাবাদী দক্ষিন সুন্দরবনের বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয় গবেষনাগার কেন্দ্রের অধিকর্তা ডঃ অরুন কুমার সেনাপতি।
সব বাধা কাটিয়ে বর্ষা আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন আমন ধান ও পান চাষিরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584