সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
এ এক হার না মানার গল্প। না গল্প নয়। একেবারে কঠোর বাস্তব। বাবার দেহ মর্গে থাকলেও পরীক্ষায় বসছে বর্ধমানে গলসির দয়ালপুরের সালমা খাতুন।২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গলিগ্রামের কাছে মোটর বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান সালমার বাবা আয়লান। জানা যায়, শীগ্রাম থেকে কাজ করে গ্রামে ফিরছিলেন আয়লান। আরও দুই সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে ফিরছিলেন তিনি।
আচমকা বাইকের পিছন থেকে ধাক্কা দেয় চারচাকার গাড়ি। ধাক্কা দিয়েই গাড়িটি বেপাত্তা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই আয়নাল মারা যান। পেশায় কল মিস্ত্রী আইনালের দিন এনে দিন খাওয়ার সংসার এখন মানসিক এবং আর্থিক ভাবে বিধ্বস্ত।
আরও পড়ুন: উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ সনাক্ত করে খুনের দাবী পরিবারের
এই শোকের পরিবেশেও সালমা মাধ্যমিক দেওয়া থেকে বিচলিত হয়নি। যা দেখে তার বিদ্যালয় গলসি সারদা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা চিত্রলেখা তা বলছেন, “সালমার মনের জোর ও ইচ্ছাকে কুর্ণিশ না জানিয়ে পারছি না।” সালমা অবশ্য বলছে, ‘বাবা চাইতেন, আমি ভাল করে পড়াশুনো করি। তাই মনের জোরকে এক করে পরীক্ষায় বসেছি।’ সালমার মা জমিলা বেগম বলেন, ‘বাবার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে সালমা যখন বলল, পরীক্ষা দিতে যাব, তখন আর কেউ আটকায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584