সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় সমবায় সমিতি থেকে যে সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছিল তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেচের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আউসগ্রাম ১ নং ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকরা চাষ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক দলের নেতারা এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে এসেছিলেন। তখন গ্রামবাসীদের একাংশ নেতাদের কাছে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সূত্রের খবর, এলাকায় ‘দিগনগর ইউনিয়ন কো অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড’ এর তরফে পাঁচটি সাবমারসিবল পাম্প বসানো হয়েছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্ধারিত জলকর দেওয়ার পরেও তা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল শোধ করা হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ দফতর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী অজিত মাহাতো এই পাম্পগুলি দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি চাষিদের কাছ থেকে জলকর তুলেছিলেন, কিন্তু সেই টাকা জমা পড়েনি বিদ্যুৎ দফতরে।
জানা যায়, সাবমারসিবল ব্যবহার বাবদ বিঘা প্রতি সর্ষের জন্য ৭০০ টাকা আলু চাষের জন্য, ১২০০ টাকা গমের জন্য, ১০০০ টাকা করে চাষীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। চাষিরা সেই টাকা মিটিয়ে দিলেও কোনও হিসেব দেওয়া হয়নি তাদের।
সমবায় সমিতির সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী বলছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী, বিদ্যুতের বিলের টাকা সমিতিতে জমা দেননি। তৃণমূলের আউসগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমান বলেন, সমিতি এবং বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। চাষিরা যদিও বলছেন রবি চাষ না হলে শুধুমাত্র একবার ধান চাষ করে কোনও ভাবে সংসার চালানো সম্ভব নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584