তপন চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুরঃ
যেভাবে হুহু করে বেড়ে চলেছে তাতে যে কোনো সময় রাধিকাপুরের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই বন্যা আতঙ্কে এখন দিশেহারা রাধিকাপুর এর মানুষ।তবে রাধিকাপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করলেও প্রশাসনের কাউকে এখনো দেখা যায়নি।
বন্যার আতঙ্কে কেউ কেউ রাতে বেলায় আশ্রয় নিচ্ছে ব্রিজের উপর।কেউ বা আবার খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে বন্যার আতঙ্কে। হ্যাঁ এমনই অবস্থা এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুরের।যেখানে এখন আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে সর্বত্র।
বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করেছে টাঙ্গন নদীর। গ্রামবাসীদের বক্তব্য তারা খুব আশঙ্কা বোধ করছেন যেকোনো সময় অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে কারণ একটাই টাঙ্গন নদীর জল ক্রমাগত বেড়েই চলছে। গ্রামবাসীরা জানান ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা এবারও তারা করছে। তাই এখন এই নিয়েই প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে রাধিকাপুর এ বেশ কিছু গ্রামের মানুষরা।উল্লেখ্য টানা বৃষ্টি হওয়ার ফলে কোচবিহার ডুয়ার্স জলপাইগুড়ি সহ বেশ কিছু জায়গায় বন্যা যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ঠিক তখন বন্যার আশংকায় দিন গুজরান করছেন এই সব অঞ্চলের মানুষরা।
তাদের বক্তব্য যে কোন সময় টাঙ্গন নদীর জল দু-কূল ছাপিয়ে তাদের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
বাড়ির কাছাকাছি ইতিমধ্যেই টাঙ্গন নদীর জল চলে এসেছে। গ্রামবাসীরা আরও জানান বন্যা আসার আগে থেকেই তারা সতর্ক হয়ে যাচ্ছেন কারণ এর আগেও তারা এ ধরনের বন্যায় ভুক্তভোগী। তাই বন্যা আসার আগেই বাঁচার তাগিদে নিরাপদ জায়গায় ইতিমধ্যেই তারা আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।যেমন রোডের উঁচু উঁচু জায়গায়, তেমনি রেল লাইনের ধারে আবার ব্রীজের উপরেও অনেকে আশ্রয় নিয়েছে ইতিমধ্যে।
তারা বলেন তারা কৃষি জীবি মানুষ।তাদের বাড়িতে একদিকে যেমন গরু রয়েছে তেমন ছাগল ও হাঁস-মুরগি ও রয়েছে।এগুলো যদি বন্যায় ভেসে চলে যায় তাহলে তারা রোজগার করবে কিভাবে। তাই এই গৃহপালিত সব প্রাণীদের নিয়ে এখনই আশ্রয় নিতে শুরু করে দিয়েছে তারা নিরাপদ জায়গায়।
গ্রামবাসীরা বলেন গত দুই দিনে টাঙ্গন নদীর জল প্রচন্ড বেড়ে গেছে। রাধিকাপুর এরই এক মহিলা জানান, তারা খুব ভয় পাচ্ছে চারিদিকে শুনতে পাচ্ছে বন্যা শুরু হয়েছে। এর উপর আবার টাঙ্গন নদীর জল হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন তার বাড়িতে গরু গুলো নিয়ে এসে ইতিমধ্যেই ব্রীজের উপরে বেঁধে রেখে দিয়েছে তাছাড়া তিনিও রাতে ব্রীজের উপরে আশ্রয় নিয়েছিল।
নারায়ণপুরের এক বাসিন্দা লাল মোহন বর্মণ জানান,যে ভাবে টাঙ্গন নদীর জল বেড়ে গেছে তাতে তারা খুবই আতঙ্কিত।তাছাড়া এখনই তাদের জমির ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।ধানের চারা তারা লাগাতে পারছেন না। অন্যান্য ফসল ও ডুবে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা কেটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন,কালভার্টের দাবি এলাকাবাসীর
নারায়ণপুরের বাসিন্দা আলতাব আলী জানান,নদীর জল যেভাবে বাড়ছে তাতে যখন তখন রাস্তা ভেঙে যেতে পারে আর রাস্তা ভেঙ্গে গেলে পরিস্থিতি খুব খারাপ দিকে চলে যেতে পারে। ২০১৭ সালে যে বন্যা এখানে হয়েছিল তা খুবই ভয়াবহ ছিল তাই এবারও তারা সেই আশঙ্কায় করছে হয়তো আবার বন্যা আস্তে চলছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584