শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ
রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ট্রেন ধরতে এসে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশনে ওভার ব্রিজ পার হতে গিয়ে হনুমানের কামড় খেলেন দুই যাত্রী। এক যাত্রী মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন।জখম ব্যক্তির নাম প্রতুল দেবনাথ,বয়স ৩২। বাড়ি পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের নিমতলা বাজারে। আরেক ব্যক্তির নাম জানা যায় নি তিনি পরবর্তী ট্রেন ধরে বাড়ি চলে গেছেন। হনুমানের হামলায় জখম হয়ে যেতে পারলেন না তার গন্তব্যস্থলে। এখান থেকেই যাত্রীরা বাড়ি ফিরে গেছেন।

যাত্রীদের অভিযোগ নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশনে যেভাবে হনুমানের দাপট বেড়েছে তাতে ভীষণভাবে মাঝেমধ্যেই জখম হচ্ছেন যাত্রীরা।
এ ছাড়াও যে কোনো যাত্রী টেনে ধরতে এসে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে কোন খাবার খেলে খেতে পারেন না। হনুমানের দলের যেকোনো এক হনুমান দ্রুত ওই যাত্রীর হাত থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে চম্পট দেয়।
এমনকি প্লাটফর্মে যেসব দোকানদাররা থাকেন তাদের খাবার প্রতিদিন অনায়াসেই হনুমানগুলো কেড়ে নিয়ে চম্পট দেয়। তাই নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশনে আসা যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নবদ্বীপধাম রেলষ্টেশনের ওভারব্রীজ ও জলের ট্যাপগুলো ঘিরে বসে থাকে হনুমানগুলো।
এর ফলে ট্রেন ধরতে আসা যাত্রী সাধারণেরা পানীয় জল খেতেও চরম সমস্যার মধ্যে পড়ছেন।যাত্রীদের অভিযোগ তারা রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও স্টেশন থেকে হনুমান তাড়ানোর কোন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
প্রতিদিন হনুমান আতঙ্কে যাত্রীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে ট্রেন ধরতে আসছেন। ওভার ব্রিজের উপর সারিবদ্ধ ভাবে হনুমান গুলো বসে থাকে এবং যাত্রীরা যাতায়াত করার সময় আক্রমণ করে ফলে মারাত্মকভাবে আহত হন যাত্রীরা।
রবিবার মারাত্মকভাবে জখম যাত্রী প্রতুল দেবনাথ জানিয়েছেন যে তিনি সাদাসিধে ভাবেই ওভার ব্রিজ পার হচ্ছিলেন। সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। তার স্ত্রীকেও হনুমান হাত দিয়ে থাপ্পর মেরেছে। আর তাকে মাথায় কামড়ে ও হাত দিয়ে চিরে দিয়েছে হনুমান।

একদিকে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশনে হনুমানের দাপট অন্যদিকে নবদ্বীপ শহরজুড়ে ষাঁড় ও কুকুরের দাপটে অতিষ্ঠ শহরবাসী।
জানা গিয়েছে যে প্রতিদিন কাউকে না কাউকে কুকুর ও ষাঁড়ের আক্রমনের শিকার হতে হচ্ছে। শহরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কুকুরের দাপটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে যে বিভিন্ন জন্তুর আক্রমণে তাদের হাসপাতালে বহু রোগী আসছেন। তবে কুকুরে কামড়ানোর রোগীরাই বেশি আসছে। এছাড়াও হনুমানে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে ষাঁড়ের গুঁতো খেয়ে অনেকে চিকিৎসা করতে আসছেন হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার বাপ্পা ঢালী জানিয়েছেন যে কুকুরে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বেশি এছাড়াও বিভিন্ন জন্তুর আক্রমণে জখম ব্যক্তিরাও আসছেন।নবদ্বীপধাম রেলস্টেশনে হনুমানের দাপটে যাত্রীরা অতিষ্ঠ হলেও এই প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে রবিবার দেখা গেল দুপুর ১২ টা থেকে রেলস্টেশনে বসা হকার ব্যবসায়ীরা দলবেঁধে অনুমান তাড়াতে পথে নামে। হনুমানের আক্রমনকে প্রতিহত করতে এদিন হকার ব্যবসায়ীরাও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে হনুমান তাড়াতে অভিযান চালায়। নেতৃত্বে ছিলেন রতন বাবু নামে এক হকার ব্যবসায়ী ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584