নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃরাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পরিবর্তিত হয়েছে লালগড়।সেই সবুজ বনানীতে আর নেই বারুদের গন্ধ।লাল মাটির রুক্ষতা সরে গিয়ে আজ সবুজের হাতছানি।সবুজের বুকে নেই সন্ত্রাসের ভয়াবহতা।নেই ভারী বেয়নেটের আওয়াজ, যৌথ বাহিনীর বুটের শব্দ।এখন যৌথবাহিনী সমাজের বন্ধু হয়েছে। তাই লালগড়ে এখন শিউলি ফুলের গন্ধ পাওয়া যায়।তাই উমা তার পরিবারকে নিয়ে হাজির হয়েছে লালগড়ে।চারিদিকেই শুধু মায়ের আরাধনা।
মাকে বুকের মধ্যে আগলিয়ে রাখতে প্রস্তুত লালগড়বাসী।আর মায়ের এই আবাহন এবং বিসর্জন এর মাঝের চারদিনে লালগড়বাসী মেতে উঠেছে বিভিন্ন মনোরঞ্জনের মাধ্যমে। লালগড় সার্বজনীন দূর্গোৎসব ৬৮ বছরে পা দিয়েছে।পরিবর্তনের আগে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লালগড় বাসী মেতে উঠেছে মাতৃ আরাধনায়।আজ নবমী তিথিতে লালগড়ের প্রায় সাত আটটি গ্ৰামের সমাজের সর্বস্তরের ১৫ হাজার মানুষ অন্নপূর্ণার ভোগ গ্ৰহন করেন।ছোট থেকে বড় সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে এই উৎসবের আয়োজন করতে।শুধু অনুষ্ঠান নয় এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামাজিক বার্তা পাঠানো হয়।যেমন সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ,অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের বিবাহ দিলে কি ক্ষতি হয়,মেয়েদের জন্য পড়াশোনা করতে উৎসাহিত করা,ডাইনী প্রথার বিরুদ্ধে প্রচার, চাই স্বাস্থ্য,চাই শিক্ষা, এই স্লোগান গুলো নিয়েই এবারের পূজার আয়োজন।
সমস্ত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে শুভ শক্তির জয় হোক,ধনধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই লালগড় আবার ভরে উঠুক এই কামনা করি মায়ের কাছে। লালগড় যেন আর ফিরে না আসে পুরনো কালো দিন গুলো তে। সমাজ জীবনে ফিরে আসুক সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি।জানিয়েছেন পূজো কমিটির উদ্দ্যোক্তা বনবিহারী রায় ও সৌরভ রায়, দীনেশ দাস সহ অন্যান্য গ্ৰামবাসীবৃন্দ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584