সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বর্ধমান পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এ সপ্তাহেই চুড়ান্ত সিলমোহর পড়তে চলেছে অত্যাধুনিক ‘মা-মাটি-মানুষ’ সব্জী বাজারে। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরের ১৭নং ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধশত বর্ষের পুরনো সব্জি বাজারকে তুলে সরিয়ে দিতে চলেছে বর্ধমান পুরসভা। খাজা আনোয়ার বেড় রোডের দুধারে বাজার বসার বদলে ঝুরঝুরে পুলের কাছে পুরসভার পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরে প্রথম এক ছাদের তলায় আধুনিক,সুসজ্জিত বাজারে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অর্ধশত বছরের এই বাজারকে তুলে দেবার যে সিদ্ধান্ত, এব্যাপারে এই সপ্তাহেই আগামী ৩০ জুন বর্ধমান পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে চুড়ান্ত সিলমোহর পড়তে চলেছে। শহরের সৌন্দর্য্যায়নের জন্যই এই স্থানান্তরণ বলে জানানো হলেও অনেক ব্যবসায়ীর মতে এই স্থানান্তরণে কয়েকটি সমস্যা হবে। যেমন রায়না, খণ্ডঘোষ এলাকার চাষীরা তাঁদের টাটকা সব্জি সরাসরি এই বাজারে নিয়ে আসেন। স্থান পরিবর্তন হলে রাহা খরচ বৃদ্ধি পাবে। তাতে পন্যের দাম একটু হলেও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সারা বর্ধমান থেকে ক্রেতার এখানে আসেন তাঁদের যেতেও একটু খরচ বাড়বে। পুরসভার পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ব্যবসায়ীদের নাম ঠিকানা সহ তাদের ছবি নিয়ে গেছেন পুরসভার কর্মীরা।
নতুন বাজারের রাস্তার বিপরীতেই ১৮নং ওয়ার্ডেও একটি ছোট বাজার রয়েছে। সেই ছোট ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা নতুন বাজার এখানে স্থানান্তরিত হলে তাদের ব্যবসা মার খাবে। যদিও এই যুক্তি মানতে চাননি পুর প্রতিনিধিরা। পুরসভার চেয়ারম্যান ডা. স্বরূপ দত্ত বলেন, ঝুরঝুরে পুলের কাছে প্রায় ৩ বিঘে জায়গার ওপর মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরীর জন্য বাম আমলে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও কাজ কিছুই হয়নি। ফের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই অত্যাধুনিক বাজার তৈরী করছি। বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস জানিয়েছেন, বাজারটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ টাকা করে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একতলার পাশাপাশি ভবিষ্যতে দোতলাতেও কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584