নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্থান ত্যাগ করলেন জেলা সভাপতি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানা এলাকায়।
দলীয় সূত্রে জানা যায় গত বিধানসভা উপনির্বাচন ভোটে রাজ্যের তিনটি আসনেই জিতেছে তৃনমূল । সেখানে খুটি গাড়তে পারিনি গেরুয়া শিবির।সেইমতো নারায়ণগড় এলাকায় এলাকার সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানোর জন্য ও মূল্যবৃদ্ধি, এনআরসির প্রতিবাদে মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেইমতো তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয় মিছিলের জন্য।
কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার আগেই এলাকার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মিছিলের ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এক পক্ষের দাবি যেহেতু ব্লক ভিত্তিক এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে, সেহেতু ব্লক ভিত্তিক ব্যানার দিতে হবে মিছিলে। কিন্তু আরেক পক্ষের অভিযোগ যেহেতু মিছিল থানা গোড়া থেকে শুরু হচ্ছে তাই তৃণমূল কংগ্রেসের থানা এরিয়া কমিটির নামে ব্যানার দেওয়া হোক।এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী।
এরপরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ।পরে ঘটনাস্থলে আসে নারায়ণগড় থানার পুলিশ। পরের দুটো ব্যানার রেখে মিছিল কিছু দূরে এগোলে সেখানে অংশ নিতে উপস্থিত হন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। কিন্তু তার সামনেও দুইপক্ষের কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। জেলা সভাপতি সামনে শুরু হয় হাতাহাতি।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অন্য জায়গায় কর্মসূচি আছে বলে বেরিয়ে যান তিনি।
নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির অভিযোগ জেলা সভাপতির সামনে এই রকম ঘটনা গুলি ঘটছে। আমি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাব। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সূর্য আট্ট জানান দু’পক্ষের মধ্যে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করেই এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এটা চরম নিন্দনীয় ব্যাপার।
অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা গৌরীশংকর অধিকারীর বক্তব্য তৃণমূলের আগা গোড়াই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরা। নিচতলা থেকে উপর তলা পর্যন্ত গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ভরপুর রয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও তার নিজের ভাইপো দুজনের দুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে সেখানে তো নিচুতলার কর্মীদের তো থাকবেই। যদিও এই ঘটনার পর স্থানীয় নেতৃত্বের উদ্যোগে মিছিল সম্পন্ন করা হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য পুলিশি নিরাপত্তাও ছিল চোখে পড়ার মতন ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584