নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
২০১৯ সালকে ‘ফায়ার ফ্রি’ ইয়ার ঘোষনা করেছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কতৃপক্ষ। কিন্তু ২০২০ শুরু হতেই ঘটল সেই ভয়ংকর ঘটনা। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল জঙ্গলের ৭০ থেকে ৭৫ হেক্টর তৃণভূমি। হারিয়ে গেছে জলদাপাড়ার গর্ব একশৃঙ্গ গণ্ডারের বিচরণ ভূমির একটি বিস্তৃত এলাকা।
কিন্তু এর পেছনে কারন কি? ২০১৯ সালে যেখানে আগুন নিয়ন্ত্রনে সফলতা অর্জন করেছিল জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। সেখানে বছর ফিরতেই সেই সফলতা কেন বিফলতা পর্যবসিত হল। সেই কাটা ছেড়াতেই ব্যস্ত এখন বনাধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে আড়াই কোটি টাকার সোনার বিস্কুট সহ গ্রেফতার দুই
তবে এক বছরের জমে থাকা শুকনো ঘাস যে এই আগুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল তা স্বীকার করছেন বনাধিকারিক থেকে জঙ্গলের পাশে থাকা বনবস্তির মানুষেরাও। জলদপাড়ার শিশামারা বিট লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা সমর বিশ্বাস বলেন, “ জঙ্গলে আগুন আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়।
প্রতিবছর নানান কারনে জঙ্গলে আগুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই বছর সেই আগুন একেবারে দাবানলের রূপ নিয়ে ছিল। গোটা আকাশ বাতাশ আগুনের শিখায় লাল হয়ে গিয়েছিল। গত বছর জঙ্গলে কোন আগুনের ঘটনা ঘটে নি। সেই কারনে এক বছরের শুকনো ঘাসে এই আগুনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে তা সকলেই বলছে।”
এদিকে বুধবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদাল বস্তি রেঞ্জ এলাকায় টহল দেওয়ার সময় বেশ কিছু শিকারের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে । বেশ কিছু তীর, ধনুক, গুলতি সহ নানান শিকারের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
বেগতিক বুঝে কোদাল বস্তি জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতেই বনবস্তি বাসিদের নিয়ে সভা করে বনদফতর। সেই সভাতে গ্রামবাসীদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। তারপর সকলের সই নেওয়া হয়।
জলদাপাড়ার কোদাল বস্তি রেঞ্জের রেঞ্জার ধীরাজ কামি বলেন, “ সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তারা শিকার উৎসবে মাতবেন না। আমি আশা করি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি কেউ শিকার উৎসব করবেন না।” তবে সোমবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কিন্তু অনেকটা তেমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে তোর্ষা নদীর মাছ শিকারকে সন্দেহ করছেন বনদফতরের আধিকারিকরা। কারন জঙ্গল আর জঙ্গল লাগোয়া মানুষের জীবন জীবিকা অতপ্রতভাবে জড়িত রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584