কর্মজীবনকে স্মরণীয় করে রাখতে গাছ বিতরণ দমকলকর্মীর

0
85

তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ

কর্মজীবনকে স্মরনীয় করে রাখতে রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগের কর্মী অভিনব কায়দায় অবসর গ্রহণ করলেন।এই অভিনব ঘটনার সাক্ষী রইলো উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ। কর্মজীবনের শেষদিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে ” গাছ লাগান, প্রান বাঁচান ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে গাছের চারা বিতরন ও এই বর্ষায় ছত্রহীন দুস্থ গরীব রিক্সাচালক, ভ্যানচালকদের ছাতা বিতরন করে এক অপূর্ব নজির গড়লেন রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগের মেকানিক কাম চালক কালীপদ পাল। নিজের দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে দপ্তরের কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহনের দিনই রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভ্যান ও রিক্সাচালকদের হাতে তুলে দিলেন নানা ধরনের গাছের চারা ও একটি করে ছাতা।

গাছ ও ছাতা বিতরণ করছেন কালিপদবাবু।নিজস্ব চিত্র

অবসর গ্রহনের দিনে এমন একটি কাজ করতে পেরে পরিতৃপ্ত কালীপদবাবু।দপ্তরে এলার্ম বাজতেই শহর থেকে শহরতলি,গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে আগুন নেভাতে ছুটে গিয়েছেন দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে। আগুন নেভানো কিংবা যে কোনও বিপদে আর্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর কর্তব্যপালনে। রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ার বাসিন্দা কালীপদ পালের ঘটনাবহুল কর্মজীবন তার শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালের ২১শে মে। মঙ্গলবার ছিল তার কর্মজীবনের শেষ দিন। কোনও ফেয়ারওয়েল বা পরিবার নিয়ে কোনও গ্রান্ড পার্টি নয়, দুঃস্থ, আর্তদের পাশে দাঁড়ানো মানুষ তার কর্মজীবনের শেষদিনটিকে স্মরনীয় করে রাখলেন দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েই।সমাজ ও পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি বর্ষায় বৃষ্টিতে ভিজে যেসব রিক্সাচালক ও ভ্যানচালকেরা দিনাতিপাত করছেন তাদের হাতে তুলে দিলেন ছাতা। আর পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজায়নের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপনের উদ্দেশ্যে তাদের হাতে তুলে দিলেন চারাগাছ। পেটের টানে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে দিনাতিপাত করা গরীব দুঃস্থ ভ্যানচালক ও রিক্সাচালকেরা খুবই খুশি ছাতা হাতে পেয়ে। পরম যত্নে বাড়িতে নিয়ে গেলেন চারাগাছটিকে রোপন করে মহীরুহ করে তোলার লক্ষ্যে। আর দীর্ঘ কর্মজীবনের পর অবসরের দিনে বিষদের অশ্রু নয় বরং দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আজ কালীপদবাবুর চোখেমুখে ছিল পরিতৃপ্তির উজ্জ্বল আভা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here