নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
বেশ কয়েকদিন আগে মেদিনীপুর শহরের কলেজ মাঠে শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগদান করায় বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে কেন্দ্রের কৃষি আইন ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা ও জনসভা করলো ফিরহাদ হাকিম ও সৌগত রায়, এই দিন কাঁথি এলাকার ডরমেটরি এই জনসভার আয়োজন করা হয়, এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ধান্দাবাজের জন্য না জেল যাওয়ার ভয়ে না অন্য কোনো কারণ রয়েছে যার জন্য তাকে বিজেপিতে যোগদান করতে হয়েছে, ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য করে, উনি যদি দল না ছাড়তেন তাহলে হয়তো বুঝতে পারতাম না এই জেলায় এত মুক্ত বাতাস রয়েছে, অনেক কর্মী সমর্থকরা আজ বলছে দাদা বেঁচে গেলাম এখন আমরা সবাই রাজা প্রজা হয়ে আর থাকতে হবে না।
আরও পড়ুনঃ সায়ন্তনের পরে অগ্নিমিত্রাকে শো-কজ নোটিস বঙ্গ বিজেপির
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে নন্দীগ্রামের একাধিক আন্দোলনের কথা তুলে আনলেন ববি। কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলন করেছে সেই বিষয় নিয়ে একাধিক সাফল্যের কথা তুলে আনলেন, এই দিন এই জনসভায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বক্তব্যে শুধু উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারী, তিনি পরিবারতন্ত্র নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেন আজ শিশির অধিকারী যদি না আপনাকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে আসত তাহলে আপনাকে কেউ চিনতে পারতো না অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে শুভেন্দু অধিকারী তৈরির পিছনে পাশাপাশি, অন্যদিকে কাঁথির মানুষ কোন পরিবারের নয় কাঁথির মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসে।
আরও পড়ুনঃ পাত পেড়ে খেয়েই চলে গেলেন! শোনেননি কথা, শাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ বাউল শিল্পীর
আরও পড়ুনঃ সুজাতা বিজেপির প্রাথমিক সদস্য ছিলেন কিনা জানা নেই দিলীপ ঘোষের!
এদিন কাঁথিতে এত বড় জনসভা দেখে সাধারণ মানুষকে অক্সিজেন নিতে এমনটাই মন্তব্য করলেন সাংসদ সৌগত রায়, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, অটলবিহারী জামানায় আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম তাতে অটল বিহারী বাজপায়ী আমাদের সাত দিয়েছিল, কিন্তু সেই সময়টা আলাদা ছিল এই সময়টা আলাদা। পাশাপাশি যখন তৃণমূল ক্ষমতায় আসে তখন বিজেপি নেতৃত্বরা বলেছিল তৃণমূলকে ভোট দিতে সেই সাপেক্ষে ফিরহাদ হাকিম বলেন তখন বাংলায় বিজেপির কোনো অস্তিত্ব ছিলনা সেটা শুভেন্দু অধিকারী ভালোভাবে জানেন, তখন কেন শুভেন্দু অধিকারী গেলেন না।
অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে আগাগোড়াই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে চর্চা মেতেছিল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব সেটাই বলা বাহুল্য। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ,চন্ডিপুরের বিধায়ক অমিও ভট্টাচার্য্য, পটাশপুরের বিধায়ক জোর্তিময় কর, মামুদ হোসেন-সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা। এই দিন এই সভা শেষে কার্যত গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুনঃ উস্কানি সম্প্রচারের অভিযোগে ২০ হাজার ইউরো জরিমানা রিপাবলিক ভারত টিভির
জানা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তরুণ জানা সভামঞ্চে একটু আসতে দেরি করায় তার নাম প্রকাশ না করায় কার্যত ক্ষোভে পড়ে তার অনুগামীরা, যদিও পুরো বিষয় নিয়ে সাফাই দিয়ে তরুন জানান, এই পদযাত্রায় এক বৃদ্ধা হঠাৎই পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে যায় আমার কাছে একজন মায়ের সেবা করাটাই আগে মঞ্চ তারপরে হবে, কার্যত এক কথায় বলা যেতে পারে সেবাই ধর্ম কর্ম এইবার বার্তাকে পাথেয় করে এগিয়ে চলছেন তরুণ জানা,তবে এক সময় এই তরুণ জানা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিল যদিও এদিন বক্তব্য তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কিন্তু তিনি বলেন যতদিন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন ততদিন তার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত ছিলাম আমি, আজ তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন,যদিও এই দিন মঞ্চে দেখা যায়নি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাপতিকে এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে।
সেই সম্বন্ধে তরুণ জানা বলেন উনি হয়তো এখনও পর্যন্ত ডিসিশন নিতে পারছেন না, কারণ তার বড় দাদা বিজেপিতে যোগদান করেছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584