সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
নিজের মা কে ডায়নি অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি লোকজনেদের দিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিলো ছেলে।রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে সেই হতভাগিনী মায়ের।এমনই ঘটনার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুর থানার দক্ষিণ গোবিন্দপুর।
দুই ছেলে ও দুই মেয়ে ও স্বামী স্ত্রীর সংসার ।অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দুই মেয়ের বিবাহ দিয়ে দেন নরেন্দ্র নাথ মাঝি ও মালতী মাঝি। তারপর মারা যায় স্বামী নরেন্দ্র নাথ মাঝি।বছর দুয়েক আগে বড় ছেলে মিন্টু মাঝিকে ধুমধাম করে বিবাহ দেন মালতী মাঝি।
ছেলের বিবাহের পর থেকে তাঁর জীবনে ধীরে ধীরে নেমে আসে অশান্তি অবজ্ঞা অবহেলা।মালতী মাঝি উপর চলতে থাকে অত্যাচার লাঞ্ছনা গঞ্জনা।চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে থাকতে হতো তাকে। দুই বছর ধরে মালতী মাঝি লোকের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। রাতে থাকার জন্য বাড়িতে আসতো ঠিকই।সেখানে শান্তি মিলতো না।ঘরে ছিলোনা আলো পাখা।স্যাঁতস্যাঁতে ঘর,পানীয় জলটুকু পেতেন না তিনি।
আরও পড়ুনঃ ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে চললো নাচগান,নিরুপায় নীরব দর্শক প্রশাসন
বাড়িতে আসা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর জীবনে।কারণ বড় ছেলে মিন্টু মাঝি ও তার স্ত্রী টুম্পা মাঝি বিভিন্ন রকম ভাবে অপবাদ দিতে থাকে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ীকে। সমস্ত কিছু মুখ বন্ধ করে সহ্য করে যাচ্ছিলো বৃদ্ধ মা মালতী মাঝি।
অবশেষে অপবাদের মাত্রা এতোই ছাড়িয়ে গিয়েছিলো যে নিজের মাকে ডায়নি অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি লোক জনেদের দিয়ে মারধর করে ঘার ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় বেড় করে দেয় ছেলে ও বউ। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকার মানুষজন ছুটে এসে বৃদ্ধ মালতী মাঝিকে উদ্ধার করে।তাঁর সেবা শুশ্রসা করতে থাকে।ঘটনার খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।মা মালতী মাঝির ও প্রতিবেশীদের অভিযোগে ভিত্তিতে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।এলাকার মানুষ জনের অভিযোগ মা মালতী মাঝি কাছে থেকে জায়গা জমি লিখিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বেড় করে দেবার উদ্যেশে মাকে বড় ছেলে তার শ্বশুরবাড়ি লোকজনেদের দিয়ে মারধর করে।বৃদ্ধ মালতী মাঝির দুই ছেলে পেশায় রাজ মিস্ত্রির।কেউ মাকে দেখে না বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে মা মালতী মাঝিকে শ্বশুরবাড়ি লোকজনেদের দিয়ে মারধর করার অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যায় বড় ছেলে মিন্টু মাঝি ও স্ত্রী টুম্পা মাঝি।
বৃদ্ধা মালতি মাঝি পুলিশের কাছে বড় ছেলে মিন্টু মাঝি,বৌমা টুম্পা মাঝি,দীপালী কুতি,রবীন কুতির বিরুদ্ধে মারধর ও ডায়নি অপবাদ দিয়ে ঘড় থেকে বেড় করে দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেছে।পুলিশ এদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।দাঁত ভাঙা তোপরা গালে নিজের শেষ সম্বল টুকু ফিরে পেতে চাইছেন বৃদ্ধা। যাতে শেষের দিন পর্যন্ত শান্তি ও স্বস্তিতে থাকতে চাইছেন তিনি।ঐ বৃদ্ধা শারীরিক অসুস্থতার কারনে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584