নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
গৃহবন্দি দশায় টিভি, মোবাইল, কম্পিউটারই সম্বল। খবর আছে আরও একটি সিরিজের। মিনি সিরিজ। চারটি গল্প৷ প্রত্যেকটির সময়সীমা ৫ মিনিট।
গল্পভাবনায় ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তুহিন দাশগুপ্ত। মিনি সিরিজের পরিচালনার দায়িত্বে আছেন ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমাটোগ্রাফিতে তুহিন দাশগুপ্ত। সঙ্গীত পরিচালনায় ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। সিরিজের প্রত্যেকটি চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেছেন তারা প্রত্যেকেই প্রায় নবাগত বলে জানা গিয়েছে।
চারটি গল্পের প্রথমটির নাম- ‘বেস্ট এভিল ক্রিস্টমাস’। দুই বান্ধবী লীনা এবং মেরির গল্প। লীনা যখন ক্রিস্টমাস উপভোগ করতে নিজের বাড়িতে যাচ্ছে তখন খুব কষ্ট পায় মেরি। লীনা মেরিকেও তার সঙ্গে যেতে বললে যায় না সে। এরপর লীনাও থেকে যায় মেরির সঙ্গেই। দুজনে দারুণ মজা করে কাটায় দিনটা। এই মজা কি চিরস্থায়ী হবে তাদের? বিভিন্ন চরিত্রে- দেবপ্রিয়া চক্রবর্তী (মেরি), সুকন্যা সেন (লিজা)।
দ্বিতীয়টি হল- ‘দ্য ডুম ডেস্টিনেশন’। দুই সহকর্মী তথা বন্ধু পুলক এবং রাজ। শীতের রাত। দুজনে রাত সাড়ে ১১ টায় বেরোয় অফিস থেকে। একে অপরের সঙ্গে মজা করতে থাকে। রাতটাকে দার্জিলিং-এর রাত বলে মনে করে ওরা। একটি গাড়ি আসে হঠাত। বালিগঞ্জ অবধি লিফট চায় ওরা। উঠে পড়ে। সামনের সিটে একজন বসে আছে। কে সে? মানুষ নাকি প্রেত আত্মা? বিভিন্ন চরিত্রে- অর্ক ভট্টাচার্য (পুলক), ঋদ্ধিমান খান (রাজ), আশিস পাঠক (ভূত প্যাসেঞ্জার)।
আরও পড়ুনঃ ঘরবন্দি বিগ বি-র হারিয়ে যাওয়া কালো চশমা ঘিরে তোলপাড়
তৃতীয়টি হল ‘মুড়িঘণ্ট’। মামন নামের একটি মেয়ে রয়েছে গল্পের কেন্দ্রে। সে বাজার করতে বেরোলে তার বাবা তাকে ফোন করে বলে – “আগের দিন তোর হাতের মুড়িঘণ্টটা দারুণ ছিল।” মেয়ে তো আহ্লাদে আটখানা! সে বাজারে ভাল মাছ খুঁজতে থাকে বাবাকে আরেকবার মুড়ি ঘণ্ট রান্না করে খাওয়াবে বলে। কিছুতেই সঠিক দামে সে ভাল মাছ পাচ্ছিল না।
আরও পড়ুনঃ ওয়েস্ট বেঙ্গল আর্টিস্টস ফোরামের মানবিক আবেদন
অবশেষে অনেক দরদস্তুর করে একটা ভাল মাছ পায় সে। বাড়ি ফিরে রান্নাঘরে ঢুকেই সে চিৎকার করে ওঠে সে। কিন্তু কেন? বিভিন্ন চরিত্রে- গৌতম চক্রবর্তী (বাবা), প্রদীপ মাইতি (মাছ ওয়ালা), সৃজনী মুখার্জি (মামন)।
চতুর্থ ও শেষ গল্পের নাম- ‘লক্ষ্মী’। এক মায়ের মেয়েকে হারিয়ে ফেলার করুণ কাহিনি রয়েছে এখানে৷ দেবস্মিতা চক্রবর্তী (মা)।প্রসঙ্গত, ভারতে এই প্রথম তৈরি হল কোনও ভৌতিক মিনি সিরিজ। আর তা দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় বানালেন ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্দ্রনীল নিউ ইয়র্ক ফিল্ম একাডেমির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। এর আগে সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত এবং পুরস্কৃত হয়েছেন। ইন্দ্রনীলের পুরস্কারপ্রাপ্ত শর্ট ফিল্মগুলির মধ্যে রয়েছে দ্য চেজ (২০১৫), দ্য মেরাজ (২০১৬), ত্রিনিয়ানি-দ্য থার্ড আই (২০১৭), ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড (২০১৮) এবং হ্যালো (২০১৯)। আর এখন তিনি ‘ফোর শেডস অফ লিপ’ নিয়েও আশাবাদী। হরর জনারের এই মিনি সিরিজটি কতটা মানুষকে সঙ্গ দেয় সেটাই দেখার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584