সীমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
করোনা আতঙ্কে দেশে লকডাউনের মেয়াদ রয়েছে ১৭ মে পর্যন্ত। এরই মাঝে প্রতি বছরের মত এবছরও নিয়ম মেনে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। ব্যান পিরিয়ড চলবে টানা ৬১ দিন । ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন। নিষেধাঞ্জা জারি করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার মৎস্য অধিকর্তার (সামুদ্রিক) পক্ষ থেকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন মৎস্য অধিকর্তা। ডায়মন্ডহারবার,রামগঙ্গা,কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ,রায়দিঘী,পাথর প্রতিমা,সাগরদ্বীপ ,বকখালি সহ বিভিন্ন এলাকায় এই মাইকিং চলছে।সমুদ্রে নামা বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্দরে বন্দরে জাল বোনা, ট্রলার মেরামতি সব বন্ধ রয়েছে। ১৪ জুন পারি দেবে রুপলি শস্য ইলিশ ধরতে ।
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে মদের দোকান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ পাঁশকুড়ায়
সবকিছু বন্ধ থাকায় সমস্যা পড়েছেন মৎসজীবীরা। লকডাউনের মধ্যে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাদের মাথায়। লকডাউনে মিলছে না সরকারি কোন সাহায্য। রেশন পাচ্ছেন না অনেকে ।রোজগের বন্ধ। ঘরে চাল না থাকায় অভুক্ত অবস্থায় রয়েছে অনেক পরিবার। মৎসজীবীদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যকে সাহায্যর কথা লিখেছেন ডায়মন্ড হারবারে “মা গঙ্গা মৎসজীবী কল্যান সমিতি”।
আরও পড়ুনঃ শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক জ্ঞাপন বাম নেতৃত্বের
তাদের মতে, ১২০০ মৎসজীবীর জীবন সংশয় হয়ে উঠেছে। লকডাউন চলাকালীন চলতি বছরে ১৫ এপ্রিল ব্যান পিরিয়ডে সমুদ্র বাদে নদী ,খাঁড়ি,খাল,বিল এলাকায় মাছ ধরার ছাড় দিয়েছে কেন্দ্র ।ডিঙি বা নৌকা করে মৎসজীবীরা মাছ ধরতে পারার ছার দিলেও রাজ্যের নিষেধাঞ্জা জারি রয়েছে আজও। তার জেরে মাছ ধরতে পারছেনা মৎসজীবীরা।
এমনকি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বন্দরে বন্দরে অন্যান্য কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে আয় না থাকায় উনানে ভাতের হাঁড়ি চরছে না মৎসজীবীদের । ফলে অধিকাংশ পরিবার রয়েছে সমস্যায় । ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি সমস্যায় গোটা সুন্দরবনও। রাজ্য ও কেন্দ্রে দুই সংঘাতে কবে সমাধান মেলে এখন সেটাই দেখার ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584