নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
মধ্য প্রদেশের খারগোনে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে যে সংঘর্ষ ছড়ায় সে ঘটনায় মৃত ইব্রিশ খান-কে হত্যার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী ধৃত দিলীপ, সন্দীপ, অজয় কর্মা, অজয় সোলাঙ্কি ও দীপক প্রধান এদের সকলকেই দেখা গিয়েছিল গত ১০ এপ্রিল রাতে আনন্দ নগর কাপাস মান্ডি এলাকায় ইব্রিশ-এর ওপর হামলা করতে। ইব্রিশ খান-এর হত্যায় জড়িত সন্দেহে এই ৫ ব্যক্তিকে আনন্দ নগর-রহিমপুরা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, এমনটাই জানা গিয়েছে জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যম NDTV -এর প্রতিবেদন সূত্রে।
ইব্রিশ খান (৩০), পেশায় পৌরকর্মী। সংঘর্ষের দিন অর্থাৎ গত ১০ এপ্রিল রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানা যায়। এর ৮ দিন পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ইন্দোরের একটি মর্গ থেকে, যা, খারগোন থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে অবস্থিত। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গত ১০ এপ্রিল সংঘর্ষের রাতেই অন্তত সাত আট জন মিলে হত্যা করে ইব্রিশ-কে। পরের দিন দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তখন দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে খারগোনের মর্গে মৃতদেহ রেখে দেওয়ার মত ফ্রিজার নেই তাই দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইন্দোরের মর্গে। যদিও ইব্রিশের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ। ইব্রিশের ভাই দাবি করেছেন গত ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তাঁকে শেষ দেখা যায় খারগোন থানায় পুলিশ হেফাজতে। এরপর আনন্দ নগরে ইব্রিশের ওপর হামলা চালানো হয় অস্ত্র নিয়ে, মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় ভারি পাথর দিয়ে। এরপরে তাঁরা যখন বলেন যে ইব্রিশের দেহ না পাওয়া গেলে সংবাদমাধ্যমে জানাবেন তার পরেই খবর দেওয়া হয় পরিবারকে।
আরও পড়ুনঃ আর্থিক সংকটে জেরবার শ্রীলঙ্কায় প্রতিবাদী মিছিলে গুলি চালালো পুলিশ ; মৃত ১ আহত বহু
খারগোনের ভারপ্রাপ্ত এসপি রোহিত খাসওয়ানি জানিয়েছেন,“ধর্মীয় বিদ্বেষ”-এর কারণে ইব্রিশ-কে খুন করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ঐ ৫ জন তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এই ৫ জন ছাড়া আরও অন্তত ৩ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনটাই বলা হয়েছে NDTV-এর প্রতিবেদনে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584