বিশ্বজিৎ সরকার,দার্জিলিংঃ

একদিকে যখন রাজ্য সরকার সরকারি স্কুলগুলিকে পঠনপাঠন থেকে শুরু করে মিডেমিলে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ঠিক তার উল্টো দিকে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই স্কুলের পাশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ দিল স্কুল।মিডেমিলে দেওয়া হল পাঁচ টাকার বিস্কুট।
এরপর ছাত্রদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় শিক্ষিকা।এই রকমই দৃশ্য দেখা গেল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের পূর্ব বাঙ্গাগছ এসএসকে স্কুলে। এই বিষয়ে যখন ওই স্কুলের শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন যে স্কুলে পাশে কীর্তন ছিল তাই বেশি ছাত্র ছাত্রীরা আসেনি।এরপর আমি রাঁধুনিকে বলেছিলাম মিডেমিল রান্না করতে কিন্তু সে রান্না না করে পাঁচ টাকার বিস্কুট কিনে দেয়।আর এই বিষয়টি আমি আমাদের সুপারজাইজারকেও জানিয়েছি তারপরই আমি স্কুল বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: চাল ডালের সরবরাহ নেই শুধুই ডিম সেদ্ধ মিডডে মিলে
অপরদিকে এই বিষয়ে এসএসকে স্কুলের সুপারজাইজার প্রীতি দওকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে আমাকে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন যে স্কুলের পাশে কীর্তন ছিল তাই ছাত্রছাত্রী বেশি আসেনি।মাত্র দুজন এসেছে।তাই তাদের মিডেমিলের খাবার দিয়ে ছুটির কথা বলে।এরপর মিডেমিল এ কি দেওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে প্রতিদিন যা দেওয়া হয় তাই দেওয়া হয়েছে।
এরপর যখন পাঁচ টাকার বিস্কুটের কথা বলা হয় তখন বলেন যে এই বিষয়ে জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখবো।তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে আদৌ কি সম্ভব যে পাশে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার কি নিয়ম রয়েছে।
এর পাশাপাশি যখন রাজ্য সরকার মিডেমিল দেওয়ার জন্য যথাযথ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ঠিক তার উল্টো দিকে মিডেমিল এ দেওয়া হল পাঁচ টাকার বিস্কুট।তাহলে কি ওই স্কুল প্রতিদিনই মিডেমিলের বদলে পাঁচ টাকার বিস্কুট দেওয়া হয়। আর পঠনপাঠনেরই বা কি অবস্থা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584