পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বীরভূমে পাঁচটি সতীপীঠ স্বাস্থ্যবিধির আওতায় এল করোনা ভাইরাসের জেরে। চলতি মাসের ৩১ তারিখ অবধি পাঁচ পীঠস্থানে বন্ধ রাখা হল ভক্তদের পুজো। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, মানুষের জীবন সুরক্ষিত রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজো করার জন্য পাঁচ পীঠস্থানের পুরোহিতদের অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্দির ও মসজিদে একাধিক মানুষের সমাগম হয় তাই বীরভূমের জেলাশাসক ইতিমধ্যে মসজিদ কমিটি ও মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন, বৈঠকে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন কিভাবে মসজিদ মন্দিরে আসা মানুষজনকে সুস্থ রাখা যায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্দির ও মসজিদের দরজায় একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্দির মসজিদে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে তবেই প্রবেশ করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গেল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলির তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন জেলাশাসক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য যা যা নিয়মাবলী দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে আমরা পালন করছি। মন্দিরের প্রবেশদ্বারে স্যানিটাইজার দিয়ে বেশ কয়েকজন ভলেন্টিয়ারকে রাখা হয়েছে। যারা মন্দিরে আসা অল্প সংখ্যক পর্যটকের হাতে স্যানিটাইজার দেবে। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জমায়েতের। যদি কোন ভক্ত পুজো দিতে আসেন তবে সেই ভক্তকে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মায়ের গর্ভ গৃহে প্রবেশ করতে হবে।
এখন থেকে অনলাইনে পুজো দেওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সক্রিয় করা হবে। যারা পুজো দিতে ইচ্ছুক অথচ এই পরিস্থিতিতে তারাপীঠে এসে পৌঁছতে পারছেন না করোনার জেরে, তারা তাদের নিজস্ব সেবাইতের ব্যাংকে টাকা জমা করে দিলে তাদের নাম, গোত্র ধরে পূজো দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্ক, দিনহাটার চারটি নার্সিংহোম পরিদর্শন বিধায়ক উদয়ন গুহর
মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী কড়া নজরদারি রাখবে। অল্প সংখ্যক পর্যটক যারা আসবেন তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে ডাক্তার এবং অ্যাম্বুলেন্সের। অন্যদিকে জিয়াউল মাদ্রাসার শিক্ষক মহম্মদ শাখাউদ্দিন জানিয়েছেন নামাজের আগে হাত পা ধুয়ে যেতে হবে পাশাপাশি স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং দুজন নামাজের মাঝে অন্তত এক মিটার দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে। বক্রেশ্বর সেবাইত কমিটির সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত ভক্তদের জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা হবে।
এ নির্দেশ সমস্ত সেবাইতদের বলা হয়েছে। নিজেদের হাতে ভক্তদের মাথায় ফুল কপালে সিঁদুরের টিপ ও চরণামৃত দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার উষ্ণ প্রস্রবণে গরম জলে স্নান করে আসার পরও হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তবেই মন্দিরের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানিয়েছেন বীরভূমের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কোন ভাবে করোনায় আক্রান্ত রোগী এলে তাকে যেন দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়। পাশাপাশি মহকুমার তিনটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন কেন্দ্র তৈরি করে রাখা হয়েছে জরুরী ভিত্তিতে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584