পায়ে হেঁটে মাটিগাড়া থেকে পান্ডুয়ার পথে পাঁচ যুবক

0
31

নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ

পকেটে রয়েছে সামান্য মাত্র টাকা। লকডাউনে একমাস আটকে থাকার পরই হঠাৎ বাড়ি থেকে বের করে দেয় বাড়ির মালিক। এর পরেই পাঁচজন যুবক সিদ্ধান নেন, পায়েই হেঁটেই বাড়ি ফিরবেন হুগলির পান্ডুয়াতে।শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় নির্মাণ শ্রমিককের কাজে এসে ছিলেন তারা। কাজ করতে করতে লকডাউন।

workers | newsfront.co
বাড়ির পথে। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনের কারণে বাড়ি ফিরতে পারেনি। প্রায় এক মাস কেটে যায়। যা টাকা পয়সা ছিল তা প্রায় শেষের দিকে। গতকাল হঠাতই বাড়ির মালিক বাড়ি ভাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকি তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দেয়। এরপর ওই পাঁচ যুবক তাদের ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু ঠিকাদার তাদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ না করে পালিয়ে যায়। এরপর কোনো রকম উপায় না দেখে মাটিগাড়া থেকে বেরিয়ে পড়ে।এরপর এদিন তারা দুপুরে এসে পৌঁছান ফাঁসিদেওয়া ব্লকের পশ্চিম মাদাতি টোল গেটে।

আরও পড়ুনঃ লকডাউন উপেক্ষা করে রায়গঞ্জে মানুষের ঢল

তাদের মধ্যে থেকে মহম্মদ ইমতেয়াজ বলেন, ‘পকেটে নেই টাকা। তার উপর বাড়ির মালিক এসে আমাদের উপর চাপ দিচ্ছিল। এমনকি খাবার জল পর্যন্ত নিতে দিচ্ছিল না। এরপর আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তাই হেঁটেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। গতকাল সকালে মাটিগাড়া থেকে বার হয়েছি। এরপর এক দিন এক রাত পার করে এদিন এই ঘোষপুকুরে এসে পৌঁছোই।’

আরেক যুবক শেখ তমিজুল বলেন, ‘আমরা বাড়ির যাওয়ার জন্য পুলিশকেও বলেছি। কিন্তু ঘোষপুকুর থানার পুলিশ আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমাদের বলা হয়, তারা কিছু করতে পারবেন না। তাই পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে। এরপর সেখান থেকে চলে আসি। কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। রাত্রি বেলা খালি বিস্কুট আর জল খেয়েছি। আর যতক্ষণ প্রাণ আছে হেটে যাব। মাঝে মাঝে মনে হয় যে এতটা পথ পেরোতে মরেই যাব। তাই সরকারের কাছে আবেদন যাতে আমাদের কোন ব্যবস্থা করে দেয় বাড়ির পৌছে দেওয়ার জন্য।’

প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য সরকার থেকে বারবার বলা হয়েছে যে লকডাউনের সময় কাউকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবেন না। কিন্তু তার উল্টো চিত্রই দেখা গেল।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here