ফুঁসছে কোচবিহারের ৩২ নদী, সরকারি বিশেষ সতর্কতা জারি

0
153

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

flooding coochbehar | newsfront.coরাতভর টানা বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ কোচবিহার শহর। শহরের রাস্তাগুলি যেন নদীতে পরিণত হয়েছে।কোচবিহার দিনহাটা প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে সুনিতি রোড সর্বত্র একই চিত্র।

টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে তোর্সার জল। এর ফলে কোচবিহার শহরে ১২ ওয়ার্ডের বেশ কিছু জায়গায় হাটু জল।

flooding coochbehar | newsfront.coজানা গেছে, শুক্রবার রাত ২টা থেকে শুরু করে সকাল ৯টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি। জেলা সেচ দফতরের তথ্য অনুসারে ১৯৭.৬৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। জেলায় বৃষ্টির শেষ পরিসংখ্যান ১৪৮০.১০ মিমি। এতেই ফুলে ফেপে উঠেছে কোচবিহারের ৩২ টি নদী। নবান্নের নির্দেশে কোচবিহারের সমস্ত সরকারি দফতর খুলে পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছেন প্রশাসন।

এদিন জেলা শাসক কৌশিক সাহা জানান,জেলার ১২ টি ব্লকেই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আমরা পরিস্থিতির ওপরে নজর রেখে চলেছি। স্বাস্থ দফতর, পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকেও অ্যালার্ট রাখা হয়েছে। জারি ধড়লা- দরিবস, বালাভুত- ঝাউকুঠি এলাকায় নদীতে বোটের মাধ্যমে নিরিক্ষন করা হচ্ছে।
বলা বাহুল্য কোচবিহার সংলগ্ন তোর্সা হোক বা তিস্তা, রায়ডাক,দামোদর, মহানন্দা, কড়লা, মানসাই, কালযানী, ধড়লা, সিঙ্গিমাড়ি, গদাধর, প্রভৃতি নদী গুলি তাদের পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল থেকে গড়ে ২মিটার উচু দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কোচবিহারে থেকে তোর্সার উচ্চতা ৩.৯ মিটার।

flooding coochbehar | newsfront.coকোচবিহার সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন সাহা বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধে দফতর কাজ করছে পুরদমে। ২০১৮ -১৯ এ ২টি ফেসে আমরা কালযানি নদীতে ৭৩৫ মিটার ও ৬৩০ মিটার এলাকা বাধের কাজ করেছি। সেই সাথে মানষাই তে ৫২৫, গদাধর এ ৭২০, সুটুঙ্গা তে ৭৭৫, সিঙ্গীমাড়ি তে ৫৬০, তরসা তে ৫৪০, ধরলা (সিতাই) তে ১.১১, ধরলা (দিনহাটা) তে ৯৯০, সঙ্কষ এ ১০০০, রায়ডাক ১.০৫, কালজানী ৬৬০ মিটারের কাজ হয়েছে। সেই সাথে আরো বেশ কিছু নদীতে কাজ হয়ছে , তবে তা ছোটো। ২০১৮-১৯ এর নিরিখে কোচবিহার ডিভিশনের আওতায় ২০ টি নদী মিলিয়ে ২১৭.২১ মিটার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পূনঃনির্মান করেছে দফতর। তুফানগঞ্জ ও মাথাভাঙ্গা মিলিয়ে আরো ৪টা নদীতে আরআইডিএফের কাজ পূর্ণ হওয়ার মুখে।

আরও পড়ুনঃ তোর্সার গর্ভে বিলীন মূল্যবান গাছ, তিতির জঙ্গল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা

কিন্তু এই বছরের ভাঙ্গনের প্রকৃতি আলাদা। বাধের যে সব এরিয়ায় কাজ হয়েছে, তার পাসে জল ধাক্কা মারছে। তোর্ষার মাষান ঘাটে শুক্রবার রাতে ভরাট দেওয়া হয়েছে। ভুটান কোনো আগাম সতর্কতা ছারাই জল ছারছে। তাই সাধারণ মানুষদের সচেতন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here