তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
এক সময়কার লুপ্তরায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজবংশী সমাজের লোকসংস্কৃতির অন্যতম খনপালা তার দৈন্যদশাকে কাটিয়ে বর্তমানে সারারাজ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। সত্তর আশির দশকে রাজবংশী সমাজের এই খনগান বা খনপালার কথা শুনলে সাধারণ মানুষ পাশ কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করত।নাক সিঁটকাতো কিন্তু সেদিন আর বর্তমানের মধ্যে রাজবংশী সমাজের খনপালা সমস্ত রকমের দৈন্যদশা কাটিয়ে বৃহত্তর বুদ্ধিজীবী সমাজেও খনপালা আজ নিজস্ব স্বকীয়তায় সমাদৃত।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের দিলালপুরের খন পালাকার তথা বিশিষ্ট খন শিল্পী গনেশ রবিদাস বলেন তাদের খনের দল শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই সমাদৃত নয় সারা রাজ্যের সাথে খোদ কলকাতাতে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং হচ্ছে।জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগীতায় বিভিন্ন স্থানে যাবার সুযোগ পাচ্ছি।কলকাতায় মাঝে মধ্যেই ডাক পেয়ে থাকি।বর্তমানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে আমার দল পালা তৈরী করে সেই খনপালা মঞ্চস্থ করে থাকি।
কলকতার বিভিন্ন মঞ্চে উত্তর দিনাজপুর জেলার খনপালা বর্তমানে একটা স্থান করে নিয়েছে।এই জেলার খনগান বা খনপালা কলকাতার সর্বত্রই উচ্চপ্রশংসিত। বর্তমান রাজ্য সরকার লোকশিল্পীদের যোগ্য সম্মান যেমন দিচ্ছে তেমনি সামান্য হলেও প্রতি মাসে মাসে ভাতা দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছে।তাই রাজ্যের প্রতিটি জেলার সাথে সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলার লুপ্তপ্রায় খনপালা বা খনগান নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ও নুতন উদ্যমে লোকসংস্কৃতিকে নিজ পুত্রসম ভালোবেসে তাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার সবরকম প্রচেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584