শ্যামল রায়,কালনাঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলা শস্য গোলা নামে পরিচিতি।
তাই এই জেলার কালনা কাটোয়া মহকুমা জুড়ে ব্যাপক সবজি চাষ হয়।কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকে একাধিক জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন চাষিরা।এছাড়াও কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া ২ নম্বর ব্লক কেতু গ্রামে ১ নম্বর ব্লক মঙ্গলকোটে ব্যাপক সবজি চাষ করেন চাষীরা।
এবছর এতটাই ভাল সবজি উৎপাদন হয়েছে জমিতে যেখানে সবজির দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।শুক্রবার ছিল ভাইফোঁটা সেই সাথে শনিবার ও বিভিন্ন হাটে বাজারে দেখা গিয়েছে যে সবজির দাম খুব কম।ফুলকপির দাম পিস প্রতি ৫ টাকা ও বিক্রি হয়েছে।বাঁধাকপি কেজিপ্রতি ১০ টাকা ও বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।এছাড়াও শসা ক্যাপসিকাম প্রভৃতি দাম অনেকটাই কম ছিল।
পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কালেখা তলা বাজার থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার সবজি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যায়।
পাইকারি দরে এখান থেকে সবজি বিক্রি হয় বসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় ধরনের বাজার। এছাড়াও পারুলিয়া বাজার এই এলাকার মধ্যে চাষীদের সবজি বিক্রির বড় আরত।ট্রাকভর্তি করে প্রতিদিন শীতে সবজি চলে যায় বিভিন্ন রাজ্যে।চাষিরা সবজির দাম না পাওয়ায় ভীষণভাবে চিন্তিত।শনিবার এলাকার চাষিরা জানালেন যে “এবার শীত অনেক আগেই এসে গিয়েছে এবং সবজি ভালো হয়েছে মাটিতে তাই ফলন বাড়লেও আমরা সবজির দাম যেভাবে পাওয়া দরকার সেরকম পাচ্ছি না,ফলে লোকসানে পড়তে হচ্ছে আমাদের।পাশাপাশি নদীয়া এবং বর্ধমান জেলা জুড়ে যে পরিমাণ ফুলকপি বাঁধাকপি পেঁপে বাজারে আসছে তাতে আমরা দাম পাচ্ছি না।”
এলাকার চাষী শিবনাথ মন্ডল,আব্বাস উদ্দিন মল্লিক,সৈকত শেখ,লাল শেখ,দ্বারকানাথ দাস প্রমূখ জানালেন যে ফুলকপি এবং বাঁধাকপির দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে তাই তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না।
ভাই ফোটার আগে বা পরে বাজার উঠবে ভাবলেও যেভাবে কম টাকায় সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে তাদের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।সামনে ডিসেম্বর মাস তাই সবজির দাম যে আর বাড়ানো সম্ভব হবে না সেটা ইতিমধ্যে টের পাচ্ছেন চাষিরা,তাই শীতকালীন সবজির দাম যে পাওয়া যাবে না এবিষয়ে নিশ্চিত।
এলাকার চাষিরা আরো জানাচ্ছেন যে এখনো মাঠ থেকে বড়জোড় ৫ থেকে ১০ শতাংশ কপি তোলা হয়েছে এখনই যদি এই ধরনের দাম মেলে আর দিন কয়েক বাদে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে সেটা অনুমান করা যাচ্ছে।যদিও কৃষি আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে “গত বছর এই সময়ে মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হয়েছিল তাতে ফসলের ক্ষতি হয়েছিল এ বছর এখনো তেমন ঠান্ডা না পরায় শীতকালীন সবজির প্রচুর ফলন হয়েছে বাজারে যোগান বেশি থাকায় দামও বাড়তে পারছে না তবে ভিন রাজ্যের ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন আনতে হচ্ছে না এ রাজ্যে রাজ্যের নিজস্ব উৎপাদন এই চলছে তাই আশা করব উৎপাদন বাড়লেও চাষীদের সেরকম একটা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই আশা করছি সাধারণ মানুষও পেটপুরে সবজি খেতে পারবেন।”
আরও পড়ুনঃ ভুয়ো ডাক্তার গ্রেফতার উত্তেজনা এলাকায়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584