শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
কাটোয়ার সাথে নদীয়ার যোগাযোগকারী ফেরিঘাট কাটোয়া বল্লভপাড়া ফেরিঘাট। দীর্ঘদিন ধরে এই ফেরিঘাটের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবিতে সরব হয়ে আসছিলেন যাত্রী সাধারণ।বর্ষাকালে ফেরিঘাটের অবস্থা আরো বেহাল হয়ে পড়েছে।এই সময় বাঁশের মাচা দিয়েই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলাচল করতে হয় যাত্রীসাধারণকে। এছাড়াও সরকারি নির্দেশে প্রত্যেক যাত্রীকে লাইভ জ্যাকেট পরিধান করা।কিন্তু কোন যাত্রীকে ওই জ্যাকেট পড়তে দেখা যায় না।তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট কাটোয়ার বল্লভপাড়া ফেরিঘাটকে উন্নতি করার লক্ষ্য নিয়ে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’র কাছে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা চেয়ে চিঠি পাঠাল মহকুমা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।ফেরিঘাটের সৌন্দর্যায়ন ও আধুনিকরণের জন্যই এই টাকা চাওয়া হয়েছে জানালেন মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।আরো জানা গিয়েছে যে কাটোয়া শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে এই বল্লবপাড়া ফেরিঘাটটি।
এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে নৌকা পথে যাতায়াত করে থাকেন।এমনকি নদীর পথে জেটিতে চার চাকার গাড়ি ও যাতায়াত করে থাকে।
কিন্তু পরিকাঠামোর অবস্থাটা এতটাই দুর্বল যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
তাই শিপিং দফতরের কাছে টাকা চেয়ে এই ফেরিঘাটের উন্নতির কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে আমরা চাইছি এই ফেরিঘাটের উন্নতি হোক।একটি গুরুত্বপূর্ণ নদীয়া জেলার সাথে বর্ধমানের যোগাযোগকারী হিসাবে এই বল্লভপাড়া ফেরিঘাটের গুরুত্ব অপরিসীম।
তাই পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি একটি আধুনিক মানের ফেরিঘাট উপহার দিতে তৈরি হবে যাত্রী শেড পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা উঁচু বাতিস্তম্ভ মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের ঘর সহ একাধিক উন্নতি করা হবে এই ফেরিঘাটকে ঘিরে।তবে প্রশ্ন উঠেছে যে এতদ অঞ্চলের মধ্যে বেশ কয়েকটি ফেরিঘাট রয়েছে তাদের অবস্থাও বেহাল যেমন কেতুগ্রাম অগ্রদ্বীপ মঙ্গলকোটে যেসব গুলো রয়েছে তারও উন্নতি করা দরকার বলে মনে করছেন বিধায়ক রবীন্দ্র নাথ চট্টোপাধ্যায়।
তবে এইসব ফেরিঘাটের উন্নতির জন্য তিনি কথা বলবেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584