প্রয়াত কোচবিহার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিষ্ণুব্রত

0
117

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

প্রয়াত হলেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসাধীন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিষ্ণুব্রত বর্মণ। আজ কোলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও জেলার ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়িত লোকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Bishnubrata Burman | newsfront.co
বিষ্ণুব্রত বর্মণ। ফাইল চিত্র

জানা গেছে, ১৭ জুলাই করোনা উপসর্গ নিয়ে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন বিষ্ণুব্রত। সেখানে এই তাঁর করোনা পজেটিভ আসে। এরপর সেখানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু এর পরেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় নি বিষ্ণুব্রতর। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়িতে নিয়ে গিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জীর উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মণকে। এরপর আজ তার মৃত্যুর খবর মেলে।

আরও পড়ুনঃ নাম নথিভুক্ত থাকলে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতীকে ফেরাতে পারবে না হাসপাতালগুলো, নির্দেশ রাজ্যের

কয়েকদিন আগে বিষ্ণুব্রত অসুস্থ অবস্থায় থাকার সময় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের সাংগঠনিক পদ পরিবর্তন করে। ওই সময় বিষ্ণুব্রত বর্মণকে কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পদ থেকে সরিয়ে অভিজিৎ দে ভৌমিককে ওই পদে বসানো হয়। এরপরেই বিষ্ণুব্রত বর্মণের দাদা প্রিয়ব্রত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দল তাঁর অসুস্থতার জন্য কোন খোঁজ খবর নেয় নি বলে অভিযোগ তোলে। ওই অভিযোগের পরেই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের বেশ কয়েকজন নেতা অসুস্থ বিষ্ণুব্রতের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। খোঁজ নেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও। এরপর গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সুচিকিৎসার জন্য কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ উপসর্গহীন সংক্রমণ বাড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুরে

উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদেও ছিলেন বিষ্ণুব্রত বর্মণ। ১০ই জুলাই থেকে জ্বর ও বুকের ব্যনথা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি অবনতি হলে গত ১৭ই জুলাই কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন শারীরিক পরিক্ষার সাথে সাথে তার কোভিড টেষ্টও করা হয়।

কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গত ২১ জুলাই শিলিগুড়িতে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। কিন্ত সেখানে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে গতকাল মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হলেন তিনি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here