নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন, দু’হাজার উনিশ,বিজেপি ফিনিশ। উপছে পড়া ধর্মতলার শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে টার্গেট বেঁধে দিয়ে বলেছিলেন,‘বাংলায় এ বার বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশটাই চাই।’ ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা হওয়ার পর মুহূর্ত অপেক্ষা করলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি লিখলেন, “উনিশ হবে দেশের ইতিহাসের মাইলফলক।”বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না কী বলতে চেয়েছেন দিদি। উনিশের প্রস্তুতি তিনি অনেক দিন আগে থেকে শুরু করে দিয়েছেন।নিজের সংগঠন গোছানোর পাশাপাশি,সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী রাজনীতির বৃত্তে নিজেকে এবং তৃণমূলকে তুলে ধরতে চেয়েছেন বারবার। দেখতে দেখতে ক্যালেন্ডারও বদলে গেল।ভোটের বছরে ঢুকে পড়ল দেশ।আর মমতা লিখে দিলেন,এ বছরটা মাইলফলক হতে চলেছে।নেত্রীর আহ্বানে সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছে ময়দানে।আজ সারা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত বুথে বুথে তৃনমূল কংগ্রেস দলের ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।সকালে জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যুৎ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।১২ নং ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব,কাউন্সিলর টোটন শাশপিল্লী।১৬ নং ওয়ার্ড এ পতাকা উত্তোলন করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কল্পনা মুখার্জি এবং ওয়ার্ড সভাপতি সুসময় মুখার্জি।সবং ব্লকের দেহাতি থেকে তেমাথানী পর্যন্ত ১৮ কিমি রাস্তা পদযাত্রা শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। দেহাতি বাজারে মহাত্মা গান্ধীর পাদদেশে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে এবং দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা উত্তোলন করে পদযাত্রার সূচনা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র,সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া,বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাজরা বিবি,কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স, জেলা নেতা বিকাশ ভুঁইয়া সড়ক অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: বর্ধমান বইমেলা প্রস্তুতি শুরু
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584