সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমানের গলসির সাটিনন্দীগ্রাম একেবারে সুনসান।সোমবার রাত দশটা নাগাদ খানা জংশন স্টেশন থেকে কাজ সেরে সাটিনন্দী গ্রামে ফেরার পথে তৃণমূল কর্মী জয়দেব রায় নিহত হন। শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে জেলার নেতা-নেত্রীরা এবং স্থানীয় নেতা-নেত্রী ছাড়াও প্রচুর তৃণমূল কর্মীরা এসে ছিলেন।
তৃণমূল অভিযোগ করেছিল,এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ ভাবেই দায়ী বিজেপি।যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, ওই এলাকায় বিজেপি জিতলেও কোন সংগঠন নেই তাদের। এটি সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ।
সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নিহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী জয়দেববাবু। ঘটনার পরেই পুলিশ তাপু মালিক, কাশীনাথ মালিক, হরিহর সাঁতরা এবং সুনীল মালিককে গ্রেফতার করে।তাপু এবং সুনীলকে চার দিন পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কর্মী খুনের প্রতিবাদে রান্টুয়ায় বিজেপির পথ অবরোধ
জানা যায় এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে শিবশংকর রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটা প্রভাব পড়ছে। জয়দেববাবু আগে সিপিএম করতেন পরে তৃণমূলে নাম লেখান এবং গ্রাম কমিটির সম্পাদক হন।জয়দেববাবুর পরিবারের দাবি তিনি সাতে-পাঁচে থাকতেন না তবে অন্যায়ের প্রতিরোধ করতেন।
জয়দেববাবুর ছেলে বলছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হলো তার বাবাকে। তবে আপাতত চারজন গ্রেফতার হয় ফলে কিছুটা স্বস্তি মিললেও সকলেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584