পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে এবার তদন্ত করবে চার সদস্যের কমিটি। বিশ্বভারতী সূত্র মারফত খবর, শুক্রবার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন দুজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অ্যাডিশনাল সলিসিটর, ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একজন আধিকারিক বিশ্বভারতীর প্রাচীর কাণ্ডে তদন্ত করবে। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে পৌষ মেলার মাঠ ঘেরাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশ বাউরির উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ জেসিপি মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যপূর্ণ গেট। তারপর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ উঠল এবিভিপির বিশ্বভারতীর ইউনিটের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে
বোলপুর সদর মহকুমা শাসকের অফিসে বীরভূমের জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করেন সমস্যা সমাধানে। এর দুদিন পর বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং সাইকেল করে শান্তিনিকেতনের সমস্ত আশ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে যান এলাকার বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কিন্তু উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন সেদিন গেট ভাঙার নেপথ্যে কাজ করেছে কোন বড় মাথা। যারা রীতিমতো ওই জনবিক্ষোভ কে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে পেছন থেকে। তাই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেন অবিলম্বে সেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক সিবিআই এবং ইডি। উপাচার্যের দাবি মেনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তে আসে তিন সদস্যের একটি দল।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা
বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় ভবনে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করে তারা অবশ্য কলকাতায় ফিরে যায়। দুই সপ্তাহ কেটে যাবার পর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নিরবিচ্ছিন্ন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়। এখন দেখার তদন্তের গতি প্রকৃতি কোথায় শেষ হয়। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে দাবি নিয়ে তদন্ত চেয়ে ছিল সেই দাবি সঠিক নাকি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যে জনবিক্ষোভের কথা বলেছিলেন তা সঠিক!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584