সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
শিক্ষামিত্রর বেশ কয়েকজন নিজেদের দাবি আদায়ে আজ কালীঘাটের আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। এরপর ওই বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্য অন্যতম সাইফুল ইসলাম খান। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলেশ্বর ডায়মন্ড হারবারে বাড়ি সাইফুলের। কুলেশ্বর তাবারকিয়া জুনিয়ার গার্লস হাই মাদ্রাসা ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
ক্ষমতায় আসলে অনুমোদন মিলবে বলে জানান তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই মতো আশায় ছিলেন এলাকার মহিলারা, শিক্ষার আঙিনায় তারা আসবে এই ভেবে। শুরু হয়েছিল পঠনপাঠন। প্রায় এক বিঘা জায়গা স্কুলের খাতে দানও করেন তিনি। পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। টালির ছাউনি দেওয়া মাদ্রাসাই তিনি স্বপ্ন দেখেছেন শিক্ষা পৌঁছে দিতে পারবেন এলাকার পিছিয়ে পড়া সকল মানুষকে, এই ভেবে। কিন্তু তিনবার ইন্সপেকশন করেও আজও অনুমোদন মেলেনি। দেনার দায়ে পরিবারে শুরু হয় অশান্তি।
আরও পড়ুনঃ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মধ্যপ্রদেশে! খালে উল্টে তলিয়ে গেল যাত্রীবাহী বাস, মৃত ৩৭
তিনদিন আগে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সাইফুল। আজই খবর শুনে হতবম্ব হয়ে পড়ে তার পরিবার। পরিবারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন না দিলে আত্মহত্যা করতে হবে তাদের। ২০১৪ সালে থেকে তিনি কুলেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য।
আরও পড়ুনঃ পদত্যাগের চাপে পুদুচেরিতে ভাঙনের মুখে কংগ্রেস সরকার
পাশাপাশি তৃণমূলের ভালো কর্মী বলেও পরিচিত তিনি। আশা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর উপর। কিন্তু আসা নিরাসায় পরিণত হল। স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে পরে। স্বপ্ন ভাঙে পড়ুয়াদেরও। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার খাস তালুকে ঘটল এমন ঘটনা। আর তাতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584