সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলনী ভাষণে বলেছিলেন, ‘কতশত বৎসর হইয়া গেল, আমরা হিন্দু ও মুসলমান একই দেশমাতার দুই জানুর উপরে বসিয়া একই স্নেহ উপভোগ করিয়াছি, তথাপি আজও আমাদের মিলনে বিঘ্ন ঘটিতেছে।’ কিন্তু সম্প্রীতির এক বিকল্প নজির দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ নং ব্লকে।
গলসির উচ্চগ্রাম থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে শিল্ল্যা ঘাটের দামোদর থেকে জল তুলে ফিবছরের মত এবারও বহু পুণ্যার্থী আবার ফিরে যান উচ্চগ্রামে। এবারে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সংখ্যা ছিল প্রায়২৫০ জন। তাঁদের সরবত থেকে টিফিন খাওয়ানোর বাবস্থা করলেন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন। শুধু তাই নয় উচ্চগ্রাম থেকে শিল্ল্যাঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সেবা ক্যাম্প করা হয়েছে।
যাতে পুণ্যার্থীরা বিশ্রাম ও জলযোগ করতে পারেন। দীর্ঘ এই পথ হাঁটার সময় চোট পেলে সাময়িক ফার্স্ট এইড এর ব্যবস্থাও ছিল। জল তুলতে আসা পুণ্যার্থীদের মুখে হাসি। প্রাণ খুলে করলেন আশীর্বাদ ‘বাবা, ভালো থেকো।’ পুন্যার্থীদের হাতে সরবত, টিফিন তুলে দিতে পেরে আপ্লুত মুসলিম যুবকরাও। সামনের বছর আসার নেমন্তন্ন করে রাখলেন।
দেশ জুড়ে যখন হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক উঠছে তখন গলসী এক বিকল্প সংস্কৃতির সন্ধান দিল। সেই সংস্কৃতির একটাই কথা – ‘সকলের তরে সকলে আমরা’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584