সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
গ্রামে নেই কোন বড় উৎসব।নেই মাতৃ আরাধনা।বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনে ভুবননগর গ্রামে বড় পূজা বলতে গনেশ পূজা।অসময়ে গনেশ পূজা নিয়ে মেতে থাকেন গ্রামের নবীন প্রবীনেরা।এক সপ্তাহ ধরে এই পূজা ঘিরে চলে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।চলে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরন।সঙ্গে মেধাবী পড়ুয়াদের পুরস্কার বিতরন।ধর্মীয় ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এই এলাকায় এই পুজো যেন স্থানীয় মানুষের মিলন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
কাকদ্বীপ ব্লকের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম ভুবননগর।সাত হাজার মানুষের বাস এই গ্রামে।অধিকাংশই কৃষিজীবী।
খেটে খাওয়া সাধারণ এই মানুষগুলির আনন্দ বলতে ছিলনা কিছুই। একটা সময় ভুবননগর গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারই ছিল অর্থনৈতিক সমস্যায় দীর্ণ,অশিক্ষার অন্ধকারে আচ্ছন্ন।
সেই গ্রাম মঙ্গলময় হয়ে ওঠে সিদ্ধিদাতা গনেশ আরাধনার পর।আর্থিক সংকট দূর হয় গ্রামে। প্রসার ঘটে শিক্ষার । উন্নতির বিকাশ ঘটে দক্ষিন সুন্দরবনের ভুবননগর গ্রামে।নগেশ চতুর্থিতে শুরু হয় গ্রামে গনেশ পূজা।দশ বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে এই গ্রামে।এবারেও ধূমধাম করে গ্রামে প্রবীন নবীনদের উদ্যোগে চলছে এই পুজো।মন্দিরের আদলে তৈরী হয়েছে মন্ডপ।উদ্যোক্তা সুপ্রকাশ বেরা বলেন চোদ্দ ফুট উচ্চতার গনেশ মূর্তি তুলে ধরা হয়েছে দর্শনার্থীদের সামনে।বছরের শুরুতে গনেশ পূজা দিয়ে সূচনা হয় অন্যান্য পূজা।অবাঙালিদের গনেশ পূজা হলেও দক্ষিন সুন্দরবনে ভুবননগর গ্রামে গনেশ পূজা চোখে পরার মতো। পূজা ঘিরে রয়েছে সরকারি প্রকল্পের প্রচার।সবুজশ্রী প্রকল্প, রুপশ্রী,গীতাঞ্জলি,কন্যাশ্রী,সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ইত্যাদি প্রকল্পের প্রচার।যা দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।পূজাকমিটির সম্পাদক দিনবন্ধু মইতি জানান পূজা ঘিরে শুরু হয়েছে মিলন মেলা। যেখানে বিকিকিনিতে মেতেছেন প্রবীন নবীনরা।সাতদিন ব্যাপী চলবে গনেশ পূজার মিলন উৎসব।হিন্দু মুসলিম জাতি ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির মেল বন্ধনে উৎসব মুখর হয়েছে ভুবননগর গ্রাম।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তালগাছ মেরে দেওয়ার অভিযোগ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584