হরষিত সিং, মালদহঃ
অমাবস্যাতে নয় রীতি মেনে চতুদর্শীতে তন্ত্র মতে ইংরেজবাজার শহরের গঙ্গাবাগ ব্যায়াম সমিতিতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে দেবি মহাকালীর পুজো।ইংরেজদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সেই সময়ের যুকককেরা ব্যায়াম সমিতিতে শুরু করেন মহাকালির পুজো।দশ মাথার এই মহাকালির বিশেষ বৈশিষ্ট হল এখানে নেই শিব।এবার এই পুজো ৮৯ বছরে পড়ল।প্রতিবছরের মত এবারো পুজোর আগে প্রতিমা নিয়ে এক বিশাল শোভা যাত্রা বের হয় শহরের রাস্তায়।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য ১৯৩০ সালে মালদা শহরের পুড়াটুলিতে তৈরী হয়েছিল ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতি।ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য ব্যায়াম,লাঠিখেলা পাশাপাশি এলাকার যুবকদের একত্রিত করতে শুরু হয়েছিল মহাশক্তির আরাধনা।পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন বিপ্লবী কমলকৃষ্ণ চৌধুরী।প্রথম দিকে ইংরেজরা পুজো বন্ধের চেষ্টা করেছিল।তাই অত্যন্ত গোপনে শহরের পুড়াটুলিতে শুরু হয়েছিল এই কালি পুজো। ইতিহাস আর ঐতিহ্য মিলিয়ে ৮৯ বছর ধরে মহাকালির আরধনা হয়ে আসছে মালদহে। ইংরেজবাজার শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবাগ এলাকায় ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির স্থায়ী পুজো মণ্ডপ।এখানেই প্রতিবছর চর্তুদশীতে হয় মহাকালির আরাধনা।এখানকার দেবী মূর্তি শুধু দশ মুখের তাই নয়।প্রতিমার সঙ্গে শিব থাকে না।প্রতিমার হাত ও পাও থাকে দশটি করে।তন্ত্র মতে হয় এই পুজো।প্রথম প্রতিমা তৈরী করেছিলেন রামকেষ্ট দাস।আর পুরোহিত ছিলেন শরৎ পণ্ডিত।বংশ পরম্পরায় তারাই প্রতিমা তৈরী ও পুজো করেন।পুজোর পাশাপাশি হয় পাঁঠা বলি।এই পুজোর বিশেষ আকর্ষন রকমারী বাজনা সহ বণাঢ্য শোভাযাত্রা।শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে মাকে আনা হয় পুজো মণ্ডপে।
আরও পড়ুনঃ মাণিকপুরে কালী পূজায় চব্বিশ ফুটের প্রতিমা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584