মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
মানব জাতীর পরম শত্রু করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ নানা সচেতনতা ঘোষণা করেছে সরকার। এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও হুস ফেরেনি সাধারন মানুষের। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৬ টা। বাজারে উপছে পড়া ভিড় দেখে আতঙ্কিত সাধারন মানুষ।
সোমবার তুফানগঞ্জ-১নং ব্লকের মারুগঞ্জ পাইকারি মাছ বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছেন না মাস্ক কিংবা গ্লাভস। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঠেলাঠেলি আর হুড়োহুড়ি করে বাজার করছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বাজারে সামাজিক দূরত্বের প্রস্তাবিত লক্ষন রেখাও ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক নজরদারি কমে যাওয়াতেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুনঃ প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম নিতে মালদহ প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভিড়
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার আতঙ্কে নয় মারুগঞ্জের এই পাইকারি বাজার হয় মাত্র এক-দেড় ঘন্টার জন্য। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বাজার বসে। আর এই দেড় ঘন্টায় বাজারে পা রাখা মুশকিল। ছোট জায়গায় কয়েকশো ব্যবসায়ী পাইকারি মাছ কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাছ কিনতে এতটাই ব্যস্ততা থাকে যে সামাজিক দূরত্ব তো পরের কথা, পাশের জনের কথা শোনার মতো সময় পায় না। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রধান তাঁদের সামাজিক দূরত্ব মেনে বাজার চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কোনওভাবেই প্রধানের পরামর্শ কেউ মানছে না।
চিলাখানা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, মাছ কিনতে আসা সকলকেই আমরা নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে দাড়াতে বলি। কিন্তু ওই সময় কে শোনে কার কথা। যখন কোন ক্রেতাকে বলবেন দাদা একটু দূরত্ব বজায় রাখুন। তখন সে অন্য দোকানে চলে যান। যে কারণে এখন বলা বাদ দিয়েছি। ক্রেতারা যে ভাবে আসে আসুক, আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করি।
মারুগঞ্জ পাইকারি মাছ বাজার কমিটির সম্পাদক খুদু বর্মন বলেন, আমরা প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা জানাই। অনেকেই আমাদের কথা মেনে চলেন। আবার অনেকে সেই কথার গুরুত্ব দেয় না। এভাবে চলতে থাকলে বাজারের বদনাম হবে, পরবর্তী দিনে তা মানা না হলে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে বাধ্য হবো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584